বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে বইমেলায়

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৪

যেন বসন্ত বরণের আমেজ এখন বইমেলায়। শিমুল ঝরা ফাগুনের মৃদু হাওয়া দোলা দিচ্ছে পড়ন্ত বিকেলের মেলার উপচে পড়া ভিড়ে।

অমর একুশে বইমেলায় দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়ছে। সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিনে শুক্রবার আগের কদিনের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই বেশি।

যেন বসন্ত বরণের আমেজ এখন বইমেলায়। শিমুল ঝরা ফাগুনের মৃদু হাওয়া দোলা দিচ্ছে পড়ন্ত বিকেলের মেলার উপচে পড়া ভিড়ে।

রঙিন পোশাক পরে এসেছে মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঢুকছে তারা। নারীদের কারও কারও মাথায় ফুলের চাক আর বসন্তের শাড়ি। ছেলেদের কেউ কেউ পরেছে পাঞ্জাবি।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ আয়োজনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলা ঘুরে দেখা গেল এমনই চিত্র।

স্টলে স্টলে পাঠকদের ভিড়। কেউ কেউ পছন্দের লেখকের বই কিনতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন নির্ধারিত স্টল। প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের যেন কথা বলারও ফুসরত নেই।

ছুটির দিন তাই মিরপুর ১৪ থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন মোজাম্মেল হক। নিজের জন্য এখনও বই কেনা হয়নি, তবে শিশু চত্বর থেকে দুই সন্তানের জন্য বই কিনেছেন। নিউজবাংলাকে এমনটাই জানালেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ছুটির দিনে ভিড় একটু বেশি হয়েছে মনে হয়, তবে চলতে-ফিরতে সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিবারের মতো অতটা ধুলাবালিও নেই।’

তবে শিশু প্রহর না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করলেন উত্তরা থেকে আসা এক অভিভাবক। আবার মেনেও নিলেন করোনা পরিস্থিতি।

ইফতেখার মাহমুদ নামের সেই অভিভাবক বলেন, ‘এত দূর থেকে বাচ্চাকে নিয়ে প্রতিদিন তো আর বইমেলায় আসা যায় না, সময়ও হয় না। ওর (সন্তান) জন্যই দুপুরের দিকেই বইমেলায় এসেছি। শিশু চত্বরে তো এবার মঞ্চই করেনি। কয়েকটা বই কিনেছি এবার ফেরার পালা।’

বড় স্টল প্যাভিলিয়নের মতো এদিন ছোট স্টলগুলোতেও দেখা গেল বেশ ভিড়। গত তিন দিন অনেকটা ফাঁকা দেখা গেলেও শুক্রবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে দেখা গেল অনেকগুলো স্টল বসেছে।

দুপুরের পর থেকে বইমেলায় ভিড় বেড়েছে। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় নির্ধারিত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে পারেনি লেখক-পাঠক-প্রকাশকের এই মিলনমেলা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবারর বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভাষার মাসের ৩৮তম এই আয়োজন চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলে বাড়ানো হতে পারে সময়সীমা।

প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। তবে রাত ৮টার পর কেউ মেলায় ঢুকতে পারবেন না।

অবশ্য ছুটির দিনে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা।

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে মেলার মোট আয়তন প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট। রয়েছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। এ ছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৪২টি স্টল।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৬৩৪টি স্টল। সব মিলিয়ে মেলায় অংশ নেয়া সংস্থার সংখ্যা ৫৩৪টি।

এ বিভাগের আরো খবর