বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার ডিলারকে ‘হত্যার হুমকি’ কৃষি কর্মকর্তার

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:০৮

সার ডিলার মোরশেদ বলেন, ‘গত বুধবার আমাকে ফোন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা চান। নয়তো ডিলার থাকা যাবে না বলে জানান। হুমকি দেয়ার অডিও রেকর্ড সংগ্রহে রেখেছি।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএডিসির সার ডিলারকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবিরও অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন সার ডিলার মোরশেদ। এ সময় নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

গত বুধবার মুঠোফোনে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার এমন হুমকি দেন বলে জানান সার ডিলার মোরশেদ।

তিনি জানান, ২০১৯ সালে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নে বিএডিসি সার ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কখনো বাগ্‌বিতণ্ডা হয়নি।

মোরশেদ বলেন, ‘গত বুধবার আমাকে ফোন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা চান। নয়তো ডিলার থাকা যাবে না বলে জানান।

“এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘তোর কল্লাডা (মাথা) রাখবাম (রাখতাম) এক জাগাত (জায়গায়), বডিডা রাখবাম এক জাগাত’। তোরে যদি অহন পাই, পাড়া মাইর‌্যা ফুডায়া ফালবাম (ফেলতাম)।”’

এ সার ডিলার আরও বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো প্রয়োজন মনে করেই বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যালয়ে গিয়ে জানিয়েছি। হুমকি দেয়ার অডিও রেকর্ড সংগ্রহে রেখেছি।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোরশেদ ডিলার হিসেবে কাজ করলেও সে ছলছাতুরির আশ্রয় নেয়। গত জানুয়ারি মাসে তার নামে বরাদ্দ সার উত্তোলন না করে অন্য কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই তার সাথে আমার মনোমালিন্য চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেইনি। তার কাছে (ডিলার মোরশেদ) টাকা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ‘ডিলারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে।

‘প্রয়োজনে তদন্ত করে টাকা চাওয়ার প্রমাণ মিললে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর