অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। বেচা-বিক্রিও ভালো হয়েছে। তবে প্রতি বছর মেলায় ছুটির দিনে শিশু প্রহর হলেও এবার করোনার কারণে তা হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে এবারের বইমেলা হবে কি না সেই শঙ্কা নিয়ে অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ১৪ দিন পর মঙ্গলবার শুরু হয়েছে একুশে গ্রন্থমেলা।
বেচা-বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা। শুধু যে ঘুরে দেখছেন তা নয়, বইও কিনছেন পাঠকরা, জানিয়েছেন তারা। বেশ কয়েকজন প্রকাশক জানালেন, ভিড় আর লোকসমাগম নয়, বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
শিশুদের জন্য বই প্রকাশ করা প্রকাশনা সংস্থা সিসিমপুরের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ আল রাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার প্রথম দিন থেকেই বিক্রি ভালো। প্রতিদিন একটু একটু করে লোকসমাগম বাড়ছে, বিক্রিও বাড়ছে।’
একই রকম অভিজ্ঞতার কথা বললেন শিশুদের জন্য বই প্রকাশ করা প্রকাশনা সংস্থা ঘাসফড়িংয়ের স্বত্বাধিকারী রত্না দাস।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এবার আমরা যা এক্সপেক্ট করিনি তার চাইতে অনেক ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবার যেমন হয়, প্রথম কয়েক দিন তো তেমন মানুষজন আসে না, বিক্রিও সে রকম হয় না। এবার একটু ভিন্ন চিত্র দেখছি, সেটা খুব ভালো।’
শুধু শিশুচত্বরে নয়, দর্শনার্থী ও বই বিক্রিতে খুশি অন্যান্য প্রকাশনা সংস্থাও।
শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রবীন আহসান বলেন, ‘আসলেই আমি খুশি, সচরাচর মেলার প্রথম দিকে এমন চিত্র দেখা যায় না, গত পাঁচ-সাত বছরে তো আমার চোখে এমন চিত্র পড়েনি। মানুষ তো করোনায় এক রকম বন্দি ছিল, গতবারও তো সেভাবে বেরোতে পারেনি। এবার শুধু যে মানুষ আসছে আর ঘুরে চলে যাচ্ছে তা নয়, বইও কিনছে।’
এদিকে বাংলা একাডেমির সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৪১টি।
এবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে মেলার মোট আয়তন প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট। আছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন।