ই-কমার্সে ভুল করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ব্যবসা পুনরুদ্ধারের সুযোগ দাবি করেছেন আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদার।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় পলিসিগত ভুল করেছে, কিন্তু গ্রাহকের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেনি, তাদের আইনি সহায়তা দিয়ে উপযুক্ত ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।’
পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল কমার্সে আটকা আলেশা মার্টের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ডিজিটাল কমার্স প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ই-ক্যাব ভাইস চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন শিহাবসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেখছি, অনেকের টাকা গেটওয়েতে রয়েছে। আইনগতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভেতরে রেখে ইচ্ছা করলেই তিনি ওই টাকা ফেরত দিতে পারবেন না। কারণ অথরিটি লাগবে। স্বাক্ষর লাগবে। তাই তাকে ব্যবসা পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিতে হবে।’
অন্য খাতের ব্যবসায়ীদের অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হন। তখন তাদের ডাউন পেমেন্ট সুবিধাসহ নানা সুযোগ দেয়া হয়। অথচ এই খাতের ব্যবসায়ীদের অ্যারেস্ট করা হয়।’
এই ই-কমার্স উদ্যোক্তা বলেন, ‘পলিসিগত ভুলের কারণে একজনের টাকা আরেকজনের পকেটে চলে যেতে পারে। তবে অর্থ পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানের টাকা দেশের মধ্যে থাকবে, সেই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করাটা ভালো উদ্যোগ হতে পারে না।’
নিজের প্রতিষ্ঠানের (আলেশা মার্ট) অবস্থান জানিয়ে মঞ্জুরুল দাবি করেন, ‘আসলে সামহাউ হয়ে গেছে। রিকভার করার সুযোগটা থাকতে হবে। আইন দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমাদের ক্যাপাসিটি আছে। ক্যাপাসিটি ও ক্যাশমানির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের বিজনেস স্ট্রাকচার আছে। সম্পদ আছে। লায়াবিলিটি খুব কম। আশা করি আমরা ওভারকাম করব।’
ই-কমার্স প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরে মঞ্জুরুল বলেন, ‘বাজার ধরতেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বিক্রিতে ভর্তুকি দিয়ে ব্যবসা করছে। তবে একটা সময় ভর্তুকির নামে দেশে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হতো। কিছু কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এ ভর্তুকিকে টাকা কামানোর প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে নিয়েছিল। সে কারণে আজকের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
মঞ্জুরুল আলম সিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটা ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকার বাজারে পরিণত হবে। এর জন্য ‘ই-কমার্সকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। কাজটি ব্যবসায়ীদেরই করতে হবে। তাই ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসা পুনরুদ্ধারের সুযোগটা থাকতে হবে।