জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০২০ সালে নারী নির্যাতনের মামলা করেন ফটিকছড়ির আছিয়া খাতুন নামে এক নারী। এতে ৩২ বছর বয়সী কে এম এনায়েতুল্লাহ খোকন নামে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে আসামি করেন।
মূলত প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে এ মামলা করেন তিনি। যা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই ) তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে আসে।
অবশেষে হয়রানি করতে মামলা করায় ৫২ বছর বয়সী আছিয়া বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের কাছে আত্মসমর্পণ জামিন আবেদন করেন তিনি। তবে আদালত তা নাকচ করে দেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম ।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী এনায়েতুল্লাহর নামে নারী নির্যাতনের মামলা করেছিলেন আছিয়া খাতুন। যা পিবিআই তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে আছিয়া খাতুনের অভিযোগ সত্য নয় বলে প্রমাণ পায় পিবিআই।
‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলায় ফাঁসাতে নির্যাতনের অভিযোগ সাজান আছিয়া খাতুন। পরে ওই যুবক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭/৩০ ধারায় আছিয়া খাতুনের নামে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারী আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।’