বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বন্ধুকে হত্যা

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৭

র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।’

কর্মস্থল গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যেতে গত বছরের ১ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হন ধামরাইয়ের শাহাদাত হোসেন। এরপর আর ফিরে আসেননি। পরে ১২ আগস্ট আমরাইল এলাকার একটি কাঠ বাগান থেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ছয় মাস পর এ হত্যার জট খুলেছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার ধামরাইয়ের আমরাইল ও সাভারের আশুলিয়া থেকে তিনজন ও এর আগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন আমরাইলের জাহিদুল ইসলাম, তার সহযোগী আবু তাহের, সবুজ হোসেন ও মো. জাহিদ।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানিয়েছে, জাহিদুল ইসলামের প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় শাহাদাতের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই পরিকল্পণা অনুযায়ী শাহাদাতকে হত্যা করা হয়।

বুধবার দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব-৪।

র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, গত ১ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে না আসায় ৮ আগস্ট নিখোঁজ শাহাদাতের পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

এরপর ১২ আগস্ট আমরাইল এলাকার একটি নির্জন কাঠ বাগান থেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ। এদিন নিহতের মা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২৩ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন তিনি।

এরপরেই চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে র‍্যাব।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ধামরাই থানা পুলিশ শাহাদাত হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু আসামি স্বীকারোক্তি না দেয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।

প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এ হত্যায় নিহতের আরও তিন বন্ধুর সংশ্লিষ্টতা মেলে। গতকাল মঙ্গলবার ধামরাই ও আশুলিয়া থেকে হত্যার মূল পরিকল্পণাকারী জাহিদুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শাহাদাতকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

খন্দকার আল মঈন জানান, গত বছরের ১৪ আগস্ট নিজের প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের দিন ঠিক হয় শাহাদাতের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরেই শাহাদাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।

পরে ৩ আগস্ট শাহাদাতকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর নিকটবর্তী মাটির মসজিদ এলাকায় ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে একটি ভাড়া বাসায় দুই দিন রাখা হয়।

সেখান থেকে ৬ আগস্ট তাকে ধামরাইয়ের আমরাইল এলাকায় আরেকটি বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে পাশের একটি নির্জন বাগানে জুয়ার আসরে নিয়ে শাহাদাতকে চর-থাপ্পর মারে ও গোপনাঙ্গে ৪/৫টি লাথি মারে তারা। এ সময় দুইজন শাহাদাতের হাত-পা চেপে ধরে আরেকজন লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে মরদেহ ভ্যানচালক সবুজের ভ্যানে করে নিয়ে কাঠবাগানে গাছে ঝুলিয়ে রাখে তারা।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর