কোনো পরীক্ষা লাগবে না, পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে জালিয়াতির মাধ্যমে; তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেয়া হবে আসল।
দীর্ঘদিন ধরে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দেয়া একটি চক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর দারুসসালাম ও দিয়াবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. লিটন পাইক, সুজন পাইক, হাসান শেখ ওরফে আকচান, মোহাম্মদ আলী ওরফে মিস্টার, আব্দুল খালেক, আব্দুল্লাহ রনি, সোহেল রানা, সোহাগ, নুরনবী এবং হুমাযুন কবির।
তাদের কাছ থেকে ১৫৯টি ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফাইল, বিভিন্ন হাসপাতালের ১৫টি ডোপ টেস্টের সনদ পাওয়ার আবেদন ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিআরটিএ কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আবেদন ফাইলগুলো অফিসের বাইরে নিয়ে আসত। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন করে দেয়া হতো।
‘এরপর তারা জালিয়াতির মাধ্যমে সিলমোহরযুক্ত স্বাক্ষর করা পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট তৈরি করে গ্রাহকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দিত।’
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে জব্দ করা ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফাইলের পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনের বিপি নম্বরের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের বিপি নম্বরের সঙ্গে কোনো সামঞ্জস্য নেই বলে জানান হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, ‘বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকতার যোগসাজশে কোনো ট্রেনিং ছাড়াই অদক্ষ চালকদের ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দিত এই দালাল চক্র। দেশে ১৪২টি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলের অধিকাংশই এই দালালদের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর কাজ করাত বলেও জানান তিনি।