বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত দলে পদ পাবেন না আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতারা। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারাও বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দলীয় পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
খুলনা বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বুধবার বিভাগটির দায়িত্ব পাওয়া দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যারা দলের নির্দেশনা মানেন না, বহিষ্কার হয়েছেন, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন, শোকজ হয়েছেন, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না।
এ বিষয়গুলোর উদ্দেশ্য, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দল ঢেলে সাজানো, যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশারা জায়গা আরও শক্তিশালী হয়। এ লক্ষ্যে দলকে সম্মেলন করতে হবে।’
বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের নেতৃত্বে আনার সুযোগ নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই তারা আসতে পারবেন না। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না।
যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে তাদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু সেটা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর। এর আগে তাদের কোনো জায়গায় আনা যাবে না।
খুলনা বিভাগের চার জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন এখনও শেষ হয়নি। আট সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলায় সম্মেলন বাকি আছে।
আগামী তিন মাসে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের মধ্যে সবগুলোর সম্মেলন শেষ করার পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের। রোজার মাসেও কিছু উপজেলার সম্মেলন হবে বলে জানান দলের নেতারা।