প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুরে হাসনা বেগম নামে এক গৃহকর্ত্রীকে খুনের মামলায় গৃহকর্মী আঞ্জুয়ারা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মাসুমা আক্তার খান নামে অন্য এক নারীকে এ মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আঞ্জুয়ারাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।
আঞ্জুয়ারা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এনেছে আদালত।
মামলায় জানা গেছে, হাসনার শ্যামপুর থানাধীন ৪০/বি সতীশ সরকার রোডের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন আঞ্জুয়ারা। ২০১১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে হাসনার আলমারি খুলে ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করেন আঞ্জুয়ারা। হাসনা তা দেখে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আঞ্জুয়ারা পাথর দিয়ে হাসনার মাথায় ও মুখে আঘাত করেন। পরে হাসনাকে রুমে আটকে রেখে তালা দিয়ে আঞ্জুয়ারা পালিয়ে যান।
হাসনার ছেলে জামাল উদ্দিন খান বাসায় ফিরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেন। এ ঘটনায় জামাল হত্যা চেষ্টা ও চুরির অভিযোগে শ্যামপুর থানায় মামলা করেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসনা ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর মারা যান। পরে হত্যাচেষ্টাসহ চুরির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন শ্যামপুর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান।