ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে রায়ের ১৬ বছর পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তহিদুল ইসলামের আদালতে রোববার বিকেলে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সাজাপ্রাপ্ত ৬৫ বছরের আব্দুর রশিদ মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগংনী গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন।
এজাহারে বলা হয়, ২০০২ সালের ৫ আগস্ট রশিদ তার প্রতিবেশী এক ভ্যানচালকের আট বছরের মেয়েকে মুখ চেপে ধরে উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাগানে ধর্ষণ করেন।
পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার পরিবারকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তখন তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মেহেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
আট সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালত ২০০৬ সালের ৮ মার্চ তৎকালীন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হামিদ আসামি আব্দুর রশিদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ওই সময় থেকে আব্দুর রশিদ পলাতক ছিলেন। আজ আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।