কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের দুই শিশুকে গলা কেটে ও শ্বাসরোধে হত্যার মামলার এক আসামিকে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে মাজেদা বেগম নামে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি রোববার দুপুরে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
হত্যার শিকার দুই শিশু হলো ৬ বছরের মো. আরাফাত ও ৭ বছরের মো. জসিম। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর থানার লাজৈর গ্রামে।
র্যাব ১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে আরাফাতকে গলা কেটে ও জসিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ইয়াসমিন নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ইয়াসমিন শিশু আরাফাতের চাচি ও শিশু জসিমের জ্যাঠাতো ভাবি।
মেজর সাকিব জানান, স্থানীয়দের হাতে আটকের পর ইয়াসমিন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, দুই মরদেহ খালে ফেলে দেয়া হয়েছে। হত্যা ও লাশ গুমে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার চাচিশাশুড়ি মাজেদা বেগম ও স্বামী মো. সেলিম।
ওই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মাজেদা।
ঘটনার দিনই মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিন ও মাজেদাকে আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই থেকে তিনজনের নামে মামলা করেন আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন।
মেজর সাকিব বলেন, ‘ঘটনার পর ৭ বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকা, গাজীপুর, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের নাম বদলে কখনও গৃহকর্মী, কখনও গার্মেন্টসকর্মী আবার কখনও ওঝার বেশে আত্মগোপন করে ছিলেন মাজেদা বেগম।
‘সবশেষ তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দক্ষিণ চিকনছড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি গ্রাম বাগমারায় ভাইয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। কিছু দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন।’
প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে পাহাড়ি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।