নেত্রকোণায় বিয়েবিচ্ছেদের পর হামলার শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় আহত নারীর নাম রানু ওরফে রানী আক্তার। ২৫ বছর বয়সী রানু মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। মোজাম্মেল হকও একই উপজেলার কলুংকা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বকুল খাঁ।
শহরের সাতপাই এলাকায় শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হামলার ওই ঘটনা ঘটে। আহত রানু এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নেত্রকোণা মডেল থানার এসআই নাজমুল হুদা আহত রানুর স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, মোজাম্মেল ও রানু দূর-সম্পর্কের মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন। ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে রানু গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মাদক-জুয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। তাদের কোনো সন্তান নেই।
তিন মাস আগে রানুর সঙ্গে মোজাম্মেলের বিয়েবিচ্ছদ হয়। এরপর রানু গাইবান্ধা জেলার শিপন নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এতে রানুর প্রতি ক্ষিপ্ত হন মোজাম্মেল।
ফন্দি করেন প্রতিশোধ নেয়ার। রানু শুক্রবার সাতপাই এলাকায় তার বোন তন্বী আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। খবর পেয়ে শনিবার তন্বীর বাসায় এসে রানুকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চান মোজাম্মেল।
রানু এতে অস্বীকৃতি জানালে মোজাম্মেল তার পিঠে, গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এ সময় প্রতিবেশী ও রানুর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এসআই নাজমুল হুদা বলেন, ‘এ ব্যাপারে রানুর ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। রোববার দুপুরে মোজাম্মেলকে আদালতে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া একটি পুকুর থেকে মোজাম্মেলের ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’