বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন শিক্ষাক্রম হবে আনন্দময় ও বৈষম্যহীন: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৩

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য পঠন-পাঠন আনন্দময় করতে চাই। পরীক্ষার চাপ যেন না থাকে। শিশুরা নিজেদের মতো করে আনন্দময় পরিবেশে শিখবে। আর সে শিক্ষা তারা জীবনে কাজে লাগাতে পারবে।’

নতুন শিক্ষাক্রমে শিশু-কিশোরদের পাঠদান আনন্দময় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সবার ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি এই শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য।

শনিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য পঠন-পাঠন আনন্দময় করতে চাই। পরীক্ষার চাপ যেন না থাকে। শিশুরা নিজেদের মতো করে শিখবে। একটি আনন্দময় পরিবেশে তারা শিখবে। আর সে শিক্ষাটি তারা জীবনে কাজে লাগাতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য সবার ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করা। সেটি হয়তো আগে সেভাবে ছিল না। বৈশ্বিক যে আকাঙ্ক্ষা আছে তা যেন পূরণ হয়, সে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। আমরা যেন সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারি সেজন্য বিশেষজ্ঞরা পথ দেখাচ্ছেন।’

‘প্রথমে হয়তো কিছু ভুল হতে পারে। তবে প্রিন্টিং শেষের আগেই সেগুলো সংশোধন করা সম্ভব হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যা অনুযায়ী স্কিলবেজ শিক্ষা প্রয়োজন। শুধু কারিকুলাম পরিবর্তন করলে হবে না, সেটি বাস্তবায়নে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।’

‘নতুন কারিকুলামে গ্রামের শিশুদের সঙ্গে শহরের শিশুদের যেন বৈষম্য না থাকে সেদিকে নজর দেয়া হয়েছে। ’

কর্মশালায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আনন্দময় করতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু মেধা নয়, নিজেদের মতো করে তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে।

‘মানুষের মস্তিষ্ক মুখস্ত করার জন্য নয়, তথ্য বিশ্লেষণের জন্য। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে তথ্য মাথায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আর ঘুরবে না। তারা সেটি বিশ্লেষণ করতে পারবে। নতুন সিস্টেমের কারণে কোচিং করার প্রবণতা কমবে।’

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে খণ্ডে খণ্ডে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছি। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উঠলে তারা গভীর সমুদ্রের মধ্যে পড়ে। জোর করে তাদের ওপর বিভিন্ন বিষয় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন কারিকুলাম বড় ভূমিকা রাখবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের যেসব স্কুলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে, এ ধরনের ১১৫ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এনসিটিবির আওতায় সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য কিছু শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তৈরি করা হবে। তারা অন্যান্য শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শেষ না হলে এনসিটিবি নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে না।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রমে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির দুটি পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না।

নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগও তুলে দেয়া হবে। সেটি ঠিক হবে উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে।

এ বিভাগের আরো খবর