বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬.৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংশয় নেই অর্থমন্ত্রীর

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৮

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যখন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে, তখনও বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি কখনোই নিম্নমুখী হয়নি। আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, আন্তব্যাংকের বিনিময় হারও স্থিতিশীল ছিল।’

যেভাবেই হিসাব করা হোক না কেন গত ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হবে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলছেন, উদার মুদ্রানীতির কারণে এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ বলতে পারেন জিডিপি মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা হয়নি, সরকার অনেক বেশি দেখিয়েছে। আমি তাদের বলতে চাই, আমরা আমাদের মূল্যায়নে কখনোই আপস করিনি। আপনি যেভাবেই গণনা করুন না কেন জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ের একই তথ্য পাবেন। আমাদের মুদ্রানীতির সম্প্রসারণের কারণে এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।’

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো আইএমএফের ২০০৮ সালের হিসাব পদ্ধতি অনুসারে জিডিপি মূল্যায়ন করে। পুরো বিশ্ব এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। কেন এবং কীভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে তা পরিকল্পনামন্ত্রী ইতোমধ্যে ব্যাখ্যা করেছেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যখন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে, তখনও বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি কখনোই নিম্নমুখী হয়নি। আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, আন্তব্যাংকের বিনিময় হারও স্থিতিশীল ছিল। রাজস্ব সংগ্রহ করা সবচেয়ে কঠিন কাজ, সেখানেও ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

‘রপ্তানি আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্সও বেড়েছে। যদিও রেমিট্যান্স জিডিপি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়, এরপরেও এটি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।’

এসবের প্রতিফলন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পড়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানায়, চূড়ান্ত হিসাবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে পরিসংখ্যান ব্যুরো বলেছিল, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৪৪ ডলার হবে। চূড়ান্ত হিসাবে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সূচকই আরও বেড়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরলেও করোনা মহামারি পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়। চূড়ান্ত হিসাবে তার থেকে দশমিক ৮৪ শতাংশ পয়েন্ট বেশি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। জিডিপির এই প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সেবা খাত।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে। তবে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এবার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ বলেছে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।

কয়েকটি প্রকল্পে সায়

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৩ সেট বিস্ফোরক শনাক্তকরণ সিস্টেম কেনার প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মালিকানাধীন সিলেট পর্যটন মোটেলের ২৬ একর জমিতে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ একটি পাঁচতারকা মানের হোটেল স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সিলেটে বিদ্যমান মোটেল কম্পাউন্ডে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পর্যটন কমপ্লেক্স স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

সভায় নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত ১ হাজার ২০৬ কোটি টাকার সড়ক প্রশস্তকরণ ও দ্বিতল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কমিটি আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেড এবং কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লিমিটেড থেকে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি কাটার সাকশন ড্রেজার এবং আনুষঙ্গিক জাহাজ এবং আনুষঙ্গিক ক্রয়ের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর