চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় ১৫ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জোহরা খাতুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামি আকাশ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিউজবাংলাকে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার কুঁকিয়াচাঁদপুর গ্রামের আকাশকে প্রধান আসামি করে আরও চারজনের নামে দর্শনা থানায় অপহরণ মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। অন্য আসামিরা হলেন একই গ্রামের বিদ্যুত হোসেন, ফরজ আলী, সুজন আলী ও দীননাথপুর গ্রামের কালাম মিয়া।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে রাতে প্রধান আসামি আকাশকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়।
মামলার বরাতে ওসি লুৎফুল কবীর জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা নিতে সহপাঠীদের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার একটি বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন নবম শ্রেণিপড়ুয়া ওই ছাত্রী। বেলেমাঠ এলাকায় এলে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান আকাশ হোসেন ও তার বন্ধুরা।
পরে মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার বিকেলে আকাশকে প্রধান আসামি করে বিদ্যুত হোসেন, ফরজ আলী, সুজন আলী ও কালাম মিয়ার নামে দর্শনা থানায় অপহরণ মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।
অপহৃত মেয়েটির বাবা বলেন, ‘এর আগেও আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আকাশ তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে উত্ত্যক্ত করত। নানা ধরণের কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি আমি আকাশের পরিবারকে অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি।’
তবে আকাশের বাবা মিলন হোসেনের ভাষ্য, ‘আমার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে স্বেচ্ছায় আকাশের কাছে এসেছে। তাকে কেউ অপহরণ করেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
ওসি লুৎফুল কবীর বলেন, ‘মামলার পর অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আকাশকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে তার জবানবন্দি নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।