মাগুরা জেলার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় জেলাগুলোর সম্মেলন। আগামী মার্চের মধ্যে এ জেলার সম্মেলন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলাগুলোর সম্মেলন শেষ করে এসব জেলাতেও দ্রুত সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, আমিরুল ইসলাম মিলনসহ অনেকে।
সভায় বি এম মোজাম্মেল বলেন, ‘ইতিপূর্বে আমরা বেশকিছু জেলায় বর্ধিত সভা করেছি। বর্ধিত সভা প্রথমে আমরা করেছিলাম মেহেরপুর জেলায়। সে সময় জেলার সব উপজেলায়ও সম্মেলনের তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলাম। এরপর মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বর্ধিত সভা করে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের তারিখ ঠিক করি।
‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সঠিক সময়ে সম্মেলন করতে পারিনি।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আজকের সভায় এই চার জেলার সম্মেলনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে যে ৭ জেলায় সম্মেলন ও কমিটি হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সম্মেলন বাকি থাকা উপজেলাগুলোর সম্মেলনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, নতুন ৪ জেলার সম্মেলন আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারব। আর ৭ জেলার যে উপজেলাগুলোর সম্মেলন বাকি আছে সেগুলো এপ্রিল মাসে রমজানের আগে ও পরে শেষ করা হবে।’
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের সব অপপ্রচার প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করব। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লা বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। দেশের জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ কাজ করে, এগিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের যে ৭ কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এটা নতুন কিছু না। এর আগেও তারা বহুবার এ কাজ করেছে। বাস্তবে আমাদের এটা বুঝতে হবে দেশের জনগণ এ বিষয়ে কী ভাবছে। র্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে বিএনপি সরকার। র্যাবের ট্রেনিং, অস্ত্র সব কিছু যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে।’