নগরীতে শিশুপার্ক নির্মাণে বাধা প্রদানকারীদের কড়া কথা শুনিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
বুধবার দুপুরে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্নাকে সঙ্গে নিয়ে নির্মাণাধীন পার্কটি পরিদর্শন করার সময় নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে নানা মন্তব্য করেন সাদিক।
তিনি বলেন, ‘রোডসের লোকজন তো দেখছে। তো ফাও সাংবাদিকরা চিল্লায় কেয়া।’
মেয়র জানান, তিনি চৌমাথায় যে অটোরিকশাগুলো রয়েছে, সেগুলো বাইপাস সড়ক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার জন্য সড়ক প্রশস্ত করার পরিকল্পনা করেছেন। এতে মহাসড়কে উঠতে হবে না কোনো থ্রি-হুইলারকে।
লাইভে মেয়রের সঙ্গে থাকা কাউন্সিলর মান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘চিল্লায় না বুইজ্জা। এই এলাকার মানুষ খুশি। তারা জানে এইটা (পার্ক) হইলে তাদের জমির দাম বাড়বে, বাসা ভাড়াও বাড়বে। শিক্ষিত লোকজন খুশি।’
মেয়র সাদিক বলেন, ‘এটা তো শহর, এটা হাইওয়ে তো থাকবে না। আজকে যাইয়া পার্কের ভিডিওটা ছাইড়া দিমু হানে, হেইর পর বোঝবে হানে।’
এ সময় নির্মাণাধীন পার্কের পাশে একটি জমি দেখিয়ে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ওনরা (মনোয়ার হোসেন হাওলাদার) যে মামলার কথা কয়, ওনরা নিজেরা যাইয়া আমারে লিখিত দিয়াইছে না। তারা নিজেরা স্বীকারও তো করছে। এহন আবার তাইলে হেরা বাগড়া দেয়ার কথাবার্তা বলে কেন? এ তো নিজের কপাল খাইবে, কার লগে বাজায় বোঝতে হবে তো। এইয়া কইরা আটকাইতে পারবে আমারে? এটারে কয় হাইওয়ে, এটারে কি আজীবন হাইওয়ে চায়। এই রাস্তার উপরেই তো নগর ভবন হইবে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দখল করে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা লেকসংলগ্ন এলাকায় শহীদ জননী সাহার আরা বেগম শিশুপার্ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। এতে ওই এলাকার বহু মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ মনোয়ার হোসেন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির দোকান উচ্ছেদেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়েছে।
এ ছাড়া সড়ক ও জনপথের জায়গায় পার্কের নির্মাণকাজ চললেও তাদের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, সওজের অনুমতি নিয়েই চলছে পার্কের কাজ।
সড়ক দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শিশুপার্ক নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজ। এ-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন নিউজবাংলায় গত ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।