দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার গত ২৪ ঘণ্টায় কমে ১৮ শতাংশে নেমেছে। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত ২৮ জানুয়ারি দেশে সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছিল দৈনিক শনাক্তের হার। তারপর থেকে দেশে টানা ২০ শতাংশের উপরে থাকলেও বুধবার তা কমে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমেছে।
দেশে টানা ৩৩ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপর থাকল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৬ জনের দেহে। এই সময়ে ৮৭১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৪টি।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনের।
গত কিছু দিন ধরে মৃত্যুও বেড়েছে। এমনকি এক সপ্তাহ পর গত রোববার মৃত্যু ৩০-এর নিচে নামে।
এর পরের দিন সোমবার ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার এটি আরও বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়ায়। তবে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কিছুটা কমে ৩৩ জনে নেমে এসেছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্রুত বাড়লেও মৃত্যু অনেকটা কম ছিল। গত বছর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর দৈনিক মৃত্যু ছাড়িয়ে যায় ২৬৪ জনে। তবে এবার শনাক্তের হার সর্বোচ্চ হলেও মৃত্যু অনেক কম।
করোনায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭০৩ জনে।
গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২৪ ও নারী ৯ জন। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৬, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬, ষাটোর্ধ্ব ১০, সত্তরোর্ধ্ব ৭ ও অশীতিপর ৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয় ঢাকা বিভাগে। এরপরই চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া রাজশাহীতে ৪ জন, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহে ২ জন করে মারা গেছে। আর বরিশাল ও রংপুরে মারা গেছেন একজন করে।
করোনা সংক্রমণের ৬১ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯২৮টি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এক বছরে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে আছে।