বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার অ্যাম্বুলেন্স, তিনটিই অকেজো 

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:০৭

নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। দরজা-জানালা খুলে গেছে। যন্ত্রপাতি লাপাত্তা। একজন চালক একটিমাত্র সচল অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছুটছেন রোগীর সেবায়।

দূর-দূরান্তের রোগী আনা-নেয়ার জন্য সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বছরের পর পর বছর ধরে নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে অযত্ন-অবহেলায়।

এলাকার লোকজন বঞ্চিত হচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে। অথচ একটু রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে একদিকে যেমন এসব অ্যাম্বুলেন্স অচল হওয়া থেকে রক্ষা পেত, রোগীরাও পেত জরুরি সেবা।

মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট চারটি অ্যাম্বুলেন্স। এর মধ্যে তিনটি প্রয়োজনীয় মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করে ফেলে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। দিনে দিনে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যটি এখনও কিছুটা সচল আছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সেটিও অকেজো হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, গ্যারেজ সংলগ্ন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা দুটি অ্যাম্বুলেন্সের কোনোটির দরজা, কোনোটির জানালা খসে পড়ছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে যন্ত্রাংশের বেশিরভাগই লাপাত্তা।

পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নিচে বামপাশে ২০১৬ সাল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আরও একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেটির গায়ে শ্যাওলা জমতে শুরু করেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পর থেকে আগেরটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এখন সব মিলিয়ে চারটি অ্যাম্বুলেন্স। সচল রয়েছে মাত্র একটি। অথচ অনেক সময় রোগীর চাপ সামলাতে একজন চালককে ৫০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একাধিক বার রোগী নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিতে হলে জটিল রোগী অ্যাম্বুলেন্স পান না। বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হয় রাজশাহীতে।

মেরামতের ব্যবস্থা না করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেলে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। ছবি: নিউজবাংলা

কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো এভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. বাশার বলেন, ‘চারটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তিনটিই অচল। আমি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ড্রাইভারও নাই। একা রোগী আনা-নেয়ায় খুবই অসুবিধা হয়।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা আমাদেরকে জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপাতত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।’

মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও আরও চালক নিয়োগের বিষয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। মান্দা অনেক বড় উপজেলা। আর এখানকার হাসপাতালে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স সচল। অ্যাম্বুলেন্স চালকও একজন। সব মিলিয়ে রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। আমরাও চাই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক।’

নওগাঁর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কয়েকদিন হলো নওগাঁয় নতুন যোগদান করেছি। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার অনুপযোগী – এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আর কেউ অবগতও করেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়ে উদ্যোগ নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর