প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন।
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই প্রধানমন্ত্রী এই অঙ্গীকার করে পৃথক শুভেচ্ছা ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বার্তায় উভয় প্রধানমন্ত্রী এই গুরুত্বপূর্ণ উদযাপন উপলক্ষে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে জাপান ও তার জনগণের সমর্থন এবং অবদানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপানে ঐতিহাসিক সফরের কথা তুলে ধরেন, যা দুই দেশের মধ্যে একটি অটল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফরে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির কথা উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, গত পঞ্চাশ বছরের ঈর্ষণীয় সহযোগিতা আগামী পঞ্চাশ বছরের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার বার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে জাপানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে শক্ত ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ভিডিও বার্তা অনুষ্ঠানে দেখানো হয়।