বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে বৈদ্যুতিক গোলযোগেই বেশি অগ্নিকাণ্ড  

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:২২

ফায়ার সার্ভিসের বার্ষিক পরিসংখ্যান ডেটা-২০২১ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বছরজুড়ে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি; প্রায় ৭ হাজার ৯৫৫টি। ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটির চুলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৯ হাজার ২২টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আর একক কারণ হিসেবে বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক ৩ হাজার ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

সারা দেশে ২০২১ সালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ২১ হাজার ৬০১টি। এতে মারা গেছেন ২১৯ জন। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২১৮ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০৩ টাকা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়েছে।

যেসব কারণে আগুন

অধিদপ্তরের বার্ষিক পরিসংখ্যান ডেটা-২০২১ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বছরজুড়ে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি; প্রায় ৭ হাজার ৯৫৫টি। ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটির চুলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৯ হাজার ২২টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আর একক কারণ হিসেবে বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক ৩ হাজার ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

এ ছাড়া খোলা বাতির ব্যবহার, উত্তপ্ত ছাই, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলা, যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত, শত্রুতামূলক ও উচ্ছৃঙ্খল জনতার দেয়া আগুন, বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাজি পোড়ানো, উচ্চতাপ, মেশিনের মিস ফায়ার, স্বতঃস্ফূর্ত প্রজ্জ্বলন, চিমনির স্ফুলিঙ্গ, রাসায়নিক বিক্রিয়া, বিস্ফোরণ, গ্যাস সরবরাহ লাইনের ত্রুটি, যানবাহন ও অন্যান্য কারণে ২০২১ সালে অগ্নি দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।

বছরজুড়ে ২১ হাজার ৬০১টি আগুনের মধ্যে ৬ হাজার ৮৩১টি আগুনে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতার প্রয়োজন হয়নি।

আগুনে হতাহত

গত বছর দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ২২৫ জন। এর মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মারা গেছেন ১৪২ জন, যানবাহনে লাগা আগুনে ১৭ জন। ভবনের আগুনে ১২, মার্কেট, হাটবাজারে মারা গেছেন ১১ জন।

এ ছাড়া বস্তি, গ্যাস সরবরাহ লাইন, গ্যাস সিলিন্ডার, বহুতল ভবনের লাগা আগুনে আহত হয়েছেন ৫৭০ জন।

ভবনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যেকোনো ভবনকেন্দ্রিক আগুন নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ঠিক থাকলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমে আসবে। এটা মডার্ন ফায়ার সেফটির ব্যবস্থাপনা।’

ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও আরও অনেক সংস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে থাকে। সব সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করলেই আগুনের কারণে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর