বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমুদ্রতলে ৬ কোটি মাছের দেশ আবিষ্কার

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:১১

আবিষ্কার মুহূর্তটির বর্ণনা দিতে গিয়ে জার্মান গবেষক ওটান পার্সার বলেন, ‘টানা চার ঘণ্টা ধরে আমরা দেখছিলাম একের পর এক মাছের বাসা।’

অ্যান্টার্কটিকার বরফাচ্ছাদিত ওয়েডেন সাগরের তলদেশে গবেষকরা এমন এক স্থানের সন্ধান পেয়েছেন যেখানে কম করে হলেও ৬ কোটি মাছ প্রজননের জন্য বসবাস করে।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য আবিষ্কৃত ওই মৎস বসতিটি ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টার সমান হতে পারে।

বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত যত মৎস বসতির সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে সদ্য আবিষ্কৃতটিই সবচেয়ে বড়।

মূলত স্বচ্ছ শরীরের আইসফিশরাই এই দেশের বাসিন্দা। এই মাছের রক্তও পানির মতো স্বচ্ছ। বলা যায়, এই মাছটিই পৃথিবীর একমাত্র মেরুদণ্ডী প্রাণী, যার রক্তের রঙ লাল নয়।

তীব্র ঠান্ডার মধ্যে টিকে থাকার জন্য আইসফিশের স্বচ্ছ রক্তে এক ধরনের শীতরোধক প্রোটিন রয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই মৎস বসতির খোঁজ পায় মেরু অঞ্চলে গবেষণারত জার্মান জাহাজ পোলারস্ট্রিম। সে সময় জাহাজ থেকে আধা কিলোমিটার পানির নিচেই ছিল ওই বসতিটি।

সমুদ্রের ওই অঞ্চলটিতে পানির প্রবাহ পরিমাপ করতে গিয়ে মিলে যায় মাছেদের আস্ত এক দেশ।

সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিতে গিয়ে জার্মান গবেষক ওটান পার্সার বলেন, ‘টানা চার ঘণ্টা ধরে আমরা দেখছিলাম একের পর এক মাছের বাসা। এই সময়ের মধ্যে আমরা ৩ দশমিক ৭ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিলাম।’

ওটান আরও বলেন, ‘সমুদ্র বিজ্ঞানী হিসেবে ১৫ বছরের জীবনে এমন আশ্চর্য ঘটনা আমি আর কোনো দিন দেখিনি।

সম্প্রতি পুরো এলাকাটির জরিপ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত মাছের দেশটির আয়তন ২৪০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। আর প্রতি তিন বর্গমিটারের মধ্যে একটি করে মাছের বাসা রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, সমুদ্রতলের ওই দেশটিতে অন্তত ৬ কোটি মাছের বাসা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর