হাফ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিমুল শিকারীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মৌমিতা পরিবহনের অভিযুক্ত চালক মোহাম্মদ ইয়াসিন ও হেলপার ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আরিফুল ইসলাম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তিনি আসামিদের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থী শিমুল ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। গন্তব্য মোহাম্মদপুরের কলেজ গেট স্টপেজ। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বাসটি পৌঁছালে হাফ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে। এরই একপর্যায়ে বাসের স্টাফরা শিমুলকে মারপিট শুরু করেন। তাকে কলেজ গেটে বাস থামিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।
লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর শিমুল শিকারী মামলা করেন মোহাম্মদপুর থানায়।
পুলিশ বাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠায়।