বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাথাপিছু আয় ২৫৯১ ডলার

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৩৪

এম এ মান্নান বলেন, ‘আগস্টের সময়িক প্রাক্কলনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশে। মাথাপিছু জাতীয় আয়ের হিসাব ছিল ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার।’

সাময়িক হিসাবে কিছুটা কম থাকলেও চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার। এটি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের হিসাবে ছিল ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।

এই সময়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হার এক লাফে প্রায় ৭ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সাময়িক হিসাবে তা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

জিডিপি, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের এ চূড়ান্ত হিসাব মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের একনেক সভায় সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা অনুমোদন পেয়েছে। গত বছরের আগস্টে প্রকাশিত সাময়িক হিসাবে মোট জিডিপির আকার ছিল ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চূড়ান্ত হিসাবে তা ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

‘আগস্টের সময়িক প্রাক্কলনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশে। মাথাপিছু জাতীয় আয়ের হিসাব ছিল ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার।’

এর আগে জাতীয় সংসদে দেয়া এক ভাষণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। সংসদে দেয়া এক প্রতিবেদনের বরাতে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।

মূলত হিসাবের ভিত্তি বছর পরিবর্তনেই প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে বড় উলম্ফন হয়েছে। সম্প্রতি ভিত্তি বছর ২০০৫-০৬ থেকে পরিবর্তন করে ২০১৫-১৬ কে ভিত্তিবছর হিসাবে গণনা শুরু করেছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

সাময়িক হিসাবে প্রাক্কলিত মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। ভিত্তিবছর পরিবর্তনের কারণে তা ৩২৭ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। এখন তা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধির হার।

বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসাবে ছিল ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কৃষির উপখাতের মধ্যে চূড়ান্ত হিসাবে শস্যে ২ দশমিক ২৯, পশুপালনে ২ দশমিক ৯৪, বনে ৪ দশমিক ৯৪ ও মৎস্যে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়।

শিল্প খাতে সার্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ১১ দশমিক ৫৯, বিদ্যুৎ খাতে ১১ দশমিক ৬৫ ও নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসাবে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই খাতের মধ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭ দশমিক ৬৪, যানবাহন খাতে ৪ দশমিক ০৪, ব্যাংক ও বিমা খাতে ৫ দশমিক ৮২, শিক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৮১ এবং স্বাস্থ্য খাতে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর