বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যুর ৭১ শতাংশ টিকা নেননি

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৪২

৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি সাত দিনে করোনায় মারা গেছে ২২৬ জন। এর মধ্যে ১৬১ জনই টিকা নেননি, যা শতকরা হিসেবে ৭১ দশমিক ২ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই টিকা নেননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের পঞ্চম সপ্তাহে যারা মারা গেছেন, তাদের ৭১ দশমিক ২ শতাংশই টিকার বাইরে ছিলেন।

৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি সাত দিনে করোনায় মারা গেছেন ২২৬ জন। এর মধ্যে ১৬১ জনই টিকা নেননি, যা শতকরা হিসেবে ৭১ দশমিক ২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ শতাংশ ব্যক্তি টিকা নিয়েও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

যারা টিকা নিয়ে মারা গেছেন তাদের আবার বেশির ভাগই নানা ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলেও জানায় অধিদপ্তর।

করোনা নিয়ে দৈনিক যে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাতে সোমবার এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, মারা যাওয়া ৬৫ জন যারা টিকা নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ২৫ জন টিকার শুধু একটি ডোজ নিয়েছিলেন। আর দুটি ডোজ নিয়েও মারা গেছেন ৪০ জন।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর মৃত্যু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। সে সময় মৃত্যুশূন্য দিনও দেখেছে বাংলাদেশ।

তবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দ্রুত সংক্রামক। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বেড়ে যায় সংক্রমণের হার ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় মৃত্যুও।

করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে মৃত্যু হয়েছে তা বেশ বেশি। এখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের।

চলতি বছরের পঞ্চম সপ্তাহে যে ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৬ জন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ৬৮ দশমিক ৪, বক্ষব্যাধি ১৬ দশমিক ২, হৃদরোগ ২৩ দশমিক ৯, কিডনি জটিলতা ৩১ দশমিক ৬, গ্যাস্ট্রোলিভার ১ দশমিক ৭, স্ট্রোক ৪ দশমিক ৩ এবং ৭ দশমিক ৭ জন নিউরোলজিক্যাল রোগে ভুগছিলেন।

এই সময়ে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১২৯ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী। অবশ্য কোনো গর্ভবতী নারী এই সময়ে মারা যাননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর