বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় পান চাষির মাথায় হাত

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:২০

চাষি আবু তাহের বলেন, ‘আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও কৃষি বিভাগ আমাদেরকে কোনো বুদ্ধি পরামর্শ দিযে সহায়তা করছেন না। সরকারও আর্থিকভাবে আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এভাবে চললে পান চাষ ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

চাঁদপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় হলদে হয়ে যাচ্ছে পান পাতা। বরজে লতা থেকে ঝরে পড়ছে পান। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছে হাজারো পান চাষি।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে জনবল সংকট ও পান চাষিদের জন্য সরকারিভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ না থাকায় কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় অনেক কৃষক জীবিকা নির্বাহ করেন এই ফসলটি চাষ করে।

মহজমপুর এলাকার পান চাষি ফজল আলী বলেন, ‘শীতকালে পানের লতা বড় হয় না। তাছাড়া মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি ও ঘন কুয়াশার কারণে পান পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে এবং পাতা ঝরে পাটিতে পড়ে যাচ্ছে। হলদেটে ও ঝরে পড়া এসব পান বাজারে তেমন দাম পাওয়া যায় না। ১০০টাকার পান বেচা লাগে ২০-৩০টাকায়। লাভ তো দূরে থাক, চালানই উঠে আসে না।’

আরেক চাষি আবু তাহের বলেন, ‘আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও কৃষি বিভাগ আমাদেরকে কোনো বুদ্ধি পরামর্শ দিযে সহায়তা করছেন না। সরকারও আর্থিকভাবে আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এভাবে চললে পান চাষ ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘শীত ও কুয়াশায় কিছু পান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পান চাষিদের ক্ষতি কমাতে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগের লোকজন। তবে লোকবল সংকটে অনেক সময় সব কৃষকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।’

তিনি বলেন, ‘হাইমচর উপজেলা পান চাষের জন্য অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। এখানকার উৎপাদিত পানের বেশ চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আলাদাভাবে পান চাষিদের জন্য কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।

‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সরকারকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। আশা করি এই ব্যাপারে সরকার সহসাই দৃষ্টি দেবে, যাতে করে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।’

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় মোট প্রায় ২৩৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। এর মধ্যে হাইমচর উপজেলাতেই আছে ২২০ হেক্টর। উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার কৃষক এই চাষাবাদে জড়িত। বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পান কেনা-বেচা হয়ে থাকে এখানে।

হাইমচরে মহানলী, চালতা বোটা ও নলডোগ এই তিন জাতের পান চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার মহজমপুর, আলগী উত্তর, আলগী দক্ষিণ ও চরভৈরবীসহ বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়।

হাইমচরে উৎপাদিত পান চাঁদপুর ছাড়াও ফেনী, নোয়াখালী, শরীয়তপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর