করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের চলমান বিধিনিষেধে ২৭ দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে রেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে রেলওয়ে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৯ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে রেল চলবে।’
দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হলে ১৩ জানুয়ারি থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। জানায় গণপরিবহনে যাত্রী বহন করতে হবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক। মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। চালক ও সহকারীদের করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে।’
পরে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে শতভাগ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। তবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রেল চালানোর সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকে।
২০২০ সালের ৮ মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায় সরকার। সে বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাইরাসটির সংক্রমণ দেশজুড়ে ছড়ানো ঠেকাতে বন্ধ করে দেয়া হয় সব ধরনের পরিবহন। তখন বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। ট্রেন চালানো শুরু হলেও প্রথম দিকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে অল্প কিছু ট্রেন ছুটে চলত গন্তব্যে।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় দেশে লকডাউন দেয় সরকার। তখনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ট্রেন। সে সময় ৫৪ দিন বন্ধ থাকার পর চলাচল শুরু হয় ট্রেনের।
প্রথমে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালালেও পরে এসে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলতে থাকে ট্রেন।