রাজধানীর মৌচাক এলাকার ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারের শিক্ষক কাজী জামাল উদ্দিন আহম্মেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তাকে রোববার আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (নি.) শফিকুল ইসলাম শফিক রোববার আদালতে আসামিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি বিকৃত মনের অধিকারী। কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের কৌশলে কাজী জামাল যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আসামির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালতে রমনা মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (নারী-শিশু) মকবুলুর রহমান এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একজন অভিভাবক জানান, তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারের আবাসিক শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি মেয়েকে সেখানে ভর্তি করান। কয়েক দিন আগে মেয়েটি বাসায় ফিরে আর কোচিং সেন্টারে যেতে চায়নি। পরে মায়ের কাছে যৌন হয়রানির কথা জানায়।
কোচিং সেন্টারটিতে হেড টিচারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানতে পারেন। কয়েকজন অভিভাবক শনিবার কোচিং সেন্টারে অবস্থান নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। পরে এক শিক্ষার্থীর বাবা মামলা করেন।