বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের বাহিনী মানবাধিকারকে পাশ কাটায় না: সেনাপ্রধান

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৮

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক দেশের সেনারাই পাল্টা আক্রমণে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। তাদের হাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়। তারা কোনো মানবাধিকারের ধার ধারে না।’

দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কখনই মানবাধিকারকে পাশ কাটায় না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী কীভাবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে তার বর্ণনা দেন সেনাপ্রধান।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশি সেনারা খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ। একই সঙ্গে আমাদের মধ্যে অনেক মানবিক আচরণ রয়েছে।

‘আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক দেশের সেনারাই পাল্টা আক্রমণে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে যায়। তাদের হাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়। তারা কোনো মানবাধিকারের ধার ধারে না। কিন্তু আপনারা নথি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনী কখনই মানবাধিকারকে পাশ কাটায় না। এটার জন্য আমরা গর্বিত। এভাবেই আমরা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের গর্ব করার মতো অনেক অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অন্যতম। আপনারা সবাই জানেন, ১৯৮৮ সালে মাত্র ৫০ জন সদস্য নিয়ে ইরান-ইরাকে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু করে। এর পর থেকে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, সদস্য সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি জানান, শান্তিরক্ষা মিশনে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ অন্যতম সর্বোচ্চ সেনাদানকারী দেশের স্থান ধরে রেখেছে। গত বছরের এপ্রিলের পর থেকেই বাংলাদেশ পৃথিবীর সর্বোচ্চ সেনাদানকারী দেশ।

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন আছে বলেও জানান সেনাপ্রধান। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য।

শান্তি মিশনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি নিজেও ১৯৯৩ সালে আফ্রিকায় নিয়োজিত বাংলাদেশের প্রথম শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য। আমার আরও সুযোগ হয়েছিল আফ্রিকার অন্যতম কঠিন জাতিসংঘ শান্তি মিশন সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকে। আমি সেখানে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে যুক্ত ছিলাম।

‘আমি এখনও মনে করতে পারি, ৯ অক্টোবর ২০১৩ সালে, আমরা অ্যাম্বুশের মুখে পড়েছিলাম। ভাগ্যক্রমে সেদিন আমার বাহন ছিল সাধারণ একটি গাড়ি। এ কারণে আমি বেঁচে যাই। কিন্তু আমার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি এবং অন্যান্য দেশের অনেক সৈন্যই সেদিন আহত হয়। এক পাকিস্তানি সেনা মারাও গিয়েছিল। আমরা সেদিন অনেক ঝুঁকি নিয়েছিলাম এবং সেই রাতেই সেনাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘এটা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো- আমরা এই অবস্থানটা অর্জন করেছি। এটা এমনি এমনি আমাদের ধরা দেয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর