বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টানা এক সপ্তাহ দৈনিক ত্রিশোর্ধ্ব মৃত্যু

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩১

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৩৫৯ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৫ হাজার ৭৪ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা সাত দিন ভাইরাসে দৈনিক ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৩৫৯ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৫ হাজার ৭৪ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশে।

এ নিয়ে টানা ২৯ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শনাক্তের ওপরে পাওয়া গেছে। ১২ দিন পর শুক্রবার শনাক্তের সংখ্যা কমে ১০ হাজারের নিচে নামে। শনিবার আরও দুই হাজার কমে ৮ হাজারের ঘরে এসেছে শনাক্ত।

গত ১৭ জানুয়ারির পর শনাক্তের এ সংখ্যা সবচেয়ে কম। সেদিন ৬ হাজার ৬৭৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৭ জনের দেহে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৫৬০ জনের।

গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়া নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা করা নমুনার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর এত বেশি হারে সংক্রমণ ধরা পড়েনি কখনো।

গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২১ ও নারী ১৫ জন। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব ১, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬, ষাটোর্ধ্ব ৭, সত্তরোর্ধ্ব ৮ ও অশীতিপর ১০ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয় ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে খুলনা বিভাগ। সেখানে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহে দুজন করে ছয়জন মারা গেছে। রাজশাহী ও সিলেটে একজন করে দুজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে গত ১৩ জানুয়ারি নানা বিধিনিষেধ দেয় সরকার। যেকোনো জমায়েত নিষিদ্ধের পাশাপাশি পরে বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ।

জমায়েতে নিষেধাজ্ঞায় পরে কিছুটা সংশোধন করা হয়। সে সংক্রান্ত বার্তায় জানানো হয়, সর্বোচ্চ ১০০ জন জমায়েত হতে পারবে, তবে সবার পিসিআর মেশিনে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে।

এ বিভাগের আরো খবর