শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে শিশু সন্তানের সামনে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্বামীর অভিযোগ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে প্রতিবেশীরা তার স্ত্রীকে পিটিয়েছেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পলাতক।
উপজেলার চরসেন্সাস ইউনিয়নের বালার বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহতের নাম রাজিয়া বেগম। তার স্বামীর নাম জাকির হোসেন মোল্যা। রাজধানীতে জাকিরের দর্জির দোকান আছে। কাজের কারণে তিনি ঢাকাতেই থাকেন বেশিরভাগ সময়।
স্থানীয়দের বরাতে সখিপুর থানা পুলিশ জানায়, স্বামীর অনুপস্থিতিতে পাশের বাড়ির ফারুক বালার সঙ্গে রাজিয়ার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক চলছে বলে সন্দেহ করতেন ফারুকের স্ত্রী পারভিন আক্তার। এ নিয়ে রাজিয়ার সঙ্গে পারভিনের প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো।
জাকিরের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজিয়া ও পারভিনের মধ্যে ফের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় পারভিন, তার স্বামী ফারুক ও ছেলে মো. পিয়াল মিলে রাজিয়ার ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করতে থাকে। সেখানে ছিল রাজিয়ার ১১ বছরের ছেলে। মাকে বাঁচাতে গেলে তাকে দা হাতে তাড়া করা হয়। শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
আশপাশের লোকজন রাজিয়াকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জাকির বলেন, ‘ফারুক ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার শিশু সন্তানের সামনে তাকে ওরা মেরে ফেলে রেখে গেছে। আমার বাচ্চা সারা জীবন মায়ের হত্যার সাক্ষী হয়ে থাকবে। হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।’
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে ফারুক ও তার পরিবার পলাতক। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।