বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পানিসংকটে বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৫১

হাজীগঞ্জ উপজেলা সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন হোসেন জানান, সেচ প্রকল্প ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী অব্যাহতিপত্র দেননি। এখন যথাসময়ে প্রকল্প চালু না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পানিসংকটে প্রায় ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে বোরোর আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ১০ গ্রামের কৃষক। সমস্যা সমাধানে তারা দারস্থ হচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বারে।

জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নম্বর হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ ও তার আশপাশের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর ফলন শেষে বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাষিরা। কিন্তু গত বছরের পানি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী এবার হঠাৎ করে প্রকল্পটি পরিচালনা করতে অপারগতা জানান।

এদিকে কৃষকেরা এরই মধ্যে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা ও জমি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু পানিসংকটে জমিতে বোরোর আবাদ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

পানির সংকটে রয়েছেন পাতানিশ পূর্ব মাঠ, ধড্ডা, নোয়াপাড়া, সাদিপুরা, পদুয়া ও পূর্ব কালচোঁ গ্রামের কয়েক শ কৃষক। পাতানিশ দক্ষিণ-পশ্চিম মাঠের সাড়াশিয়া, নিশ্চিন্তপুর ও পাতানিশ এলাকার ৬৫ একর জমি, পাতানিশ দক্ষিণ মাঠে কাঁঠালী ও পাতানিশ এলাকার ২৫ একর, পাতানিশ উত্তর মাঠে পাতানিশ-ধড্ডা এলাকায় ৪০ একর ও কচুয়া অংশের দুই শতাধিকসহ প্রায় ৫০০ একর জমিতে বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

সমস্যা সমাধানে এরই মধ্যে পাতানিশ এলাকার কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফারুক হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও আবদুল কুদ্দুস মুন্সী, কৃষি ও সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পাতানিশ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম সবুজ বলেন, ‘পাতানিশের চারপাশের ফসলি মাঠে সেচ প্রকল্প কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় কৃষকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন।’

তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান তিনি।

সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী জানান, চলতি বছর তিনি সেচ কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কী কারণে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট করেননি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার কামাল হোসেন বলেন, ‘সোহেল পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা বলে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তবে সেচ প্রকল্প চালু না হলে কৃষকদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন হোসেন জানান, সেচ প্রকল্প ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী অব্যাহতিপত্র দেননি। এখন যথাসময়ে প্রকল্প চালু না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় সেচ প্রকল্পের সংখ্যা বেশি। উপজেলায় বড় সাতটি সেচ প্রকল্পসহ মোট ২৫টি সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর