কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগে করা দুই মামলায় টেলিকম অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাসসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১১ এপ্রিল নির্ধারণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলাটির চার্জ গঠনের কথা ছিল। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় চার্জ গঠনের শুনানি হয়নি।
এ জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন তারিখ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিচারক অসুস্থজনিত কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ছুটিতে আছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন বাংলালিংকের প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অফ ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে নগর বাউল ব্যান্ডের শিল্পী জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মানাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ আলাদা দুটি মামলা করেন। মামলার আসামি প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে গেছেন। তিনি আর দেশে ফিরবেন না বলে বাদীপক্ষ জেনেছে। এ জন্য বাদীপক্ষ মামলা থেকে তাকে বাদ দিয়েছে।
মামলার অভিযোগে মানাম ও হামিন বলেন, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি আসামিরা অনুমতি ছাড়া বাংলালিংকে ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অপর মামলায় জেমস তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’ ও ‘যার যার ধর্ম’ গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।