বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির প্রস্তাবের অপেক্ষায় গণ অধিকার পরিষদ

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩৪

বিএনপি কোনো প্রস্তাব দিলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠাতে আন্দোলনের জন্য বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। তিনি মনে করেন, এই প্রস্তাব শিগগিরই আসবে। তারা খুবই ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন তা।

আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াপুত্র বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে সব শক্তির এক হতে হবে। এ জন্য বিদেশি সহায়তা লাগলেও সেটি নিতে আপত্তি নেই।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রেজা কিবরিয়া।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দেন রেজা। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে হবিগঞ্জের একটি আসনে ভোটে লড়ে হেরে যান তিনি। সে সময় তাকে নিয়ে গণফোরামে বিভক্তি তৈরি হয়।

পরে রেজা কিবরিয়া সেই দল থেকে বের হয়ে যোগ দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদে। দলটির আহ্বায়ক তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও ‘নবীন’ রেজা মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। আগামীতে যে সরকার গঠন হতে যাচ্ছে, তাতে আওয়ামী লীগের থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তার দাবি, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাই শেষ নয়। আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন দপ্তরে থাকা তার সাবেক সহকর্মীদের কাছ থেকে এই তথ্য জেনেছেন তিনি।

আপনি এ দেশে সরকার হটাতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সহায়তার কথা বলেছেন। এটা কি বিদেশি হস্তক্ষেপের মতো ব্যাপার হয়ে গেল না?

একাত্তরে আপনি যদি একটু খেয়াল করেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের কথায় তো কারও আপত্তি ছিল না। আমাদের দেশে এখনও এমন শক্তি নেই যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো নিজেরা রক্ষা করবে। তা ছাড়া আমরা এখনও বিদেশের ওপরে নির্ভরশীল অর্থনৈতিকভাবে। এটা অস্বীকার করে কোনো লাভ নেই। আমরা অনেক ধনী হয়ে গেছি, কানাডা হয়ে গেছি, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছি, এ ধরনের বাজে কথা না বলে বলা উচিত এখনও বাইরের রাষ্ট্রের ওপর আমরা বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। দেশে সমস্যা আছে। অনেক বছরে এগুলো ঠিক করতে পারিনি। এখন দেখা যাক কী করা যায়।

আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী থাকবে?

আমাদের মধ্যে প্রথম চয়েজ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বিএনপির নেতারা যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ওটা একটা পরীক্ষিত পদ্ধতি। এটা যদি না মানেন তাহলে আমরা আরও দুটি পছন্দ দিলাম। একটা হলো জাতীয় সরকার। সেখানে সব দলের মানুষ থাকবে। তারা আরও দেড়-দুই বছর প্রস্তুতি নিতে পারে। কারণ নির্বাচনে প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে একটু সময় লাগে।

তৃতীয় পছন্দ হলো জাতিসংঘের আওতায় নির্বাচন। যে দেশে নির্বাচনের সব ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, সেখানে জাতিসংঘের একটা ভূমিকা পালন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু এটা প্রথম পছন্দ নয়। এটা একটি সম্ভাবনা।

আপনারা বলছেন দেশের জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। তাহলে বিদেশি শক্তির দ্বারস্থ কেন হতে হচ্ছে? জনগণের শক্তির ওপর আপনাদের আস্থা নেই?

এ ধরনের অত্যাচারী সরকারের সামনে দাঁড়ানো এত সহজ না। মানুষকে গুম, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করা হচ্ছে। হিটলারের সময় দেখেন, খুব বেশি লোক কিন্তু তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত না। সাদ্দাম হোসেনের সময়ও একই অবস্থা। চোচেস্কুর সময় রোমানিয়াতে মানুষ রাস্তায় নামত না, ঘৃণিত সরকার ছিল, কিন্তু লোকে নামত না।

এই সরকারও ঘৃণিত, কিন্তু আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার ভোটের সংখ্যা কত?’ বলবে, ‘আমরা তো সেটা বলতে পারব না।’

নির্বাচন তো নেই ১২ বছর। সুতরাং যাচাই করা কঠিন। আমরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়া, আমাদের মিটিংগুলিতে কত লোক আসে, কত লোক সাপোর্ট করে, সেটা থেকে আন্দাজ করতে পারি।

একটা জিনিস আমি বলতে পারব যে, আওয়ামী লীগের কোনো সম্ভাবনা নেই ক্ষমতায় আসার। কারণ যে বড় কথাটা বলে জোর গলায়, উন্নয়নের জোয়ারে আমরা ডুবে যাচ্ছি, সেটা এটা একেবারে মিথ্যা।

আপনি ও নুরুল হক নুর একটি বিশেষ দেশের দূতাবাসে একাধিকবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং সেসব ছবি বেশ ফলাও করে প্রচার করেন। কী বার্তা দিতে চান দেশবাসীকে?

এটা কোনো বিশেষ মেসেজ না। আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। এটা একটা স্বাভাবিক কার্যক্রম। অনেক দূতাবাস বিভিন্ন দলের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে। এটা একটা কমন বিষয়। আমরা অন্য দলের মতো এদের সঙ্গে দেখা করি।

র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর আপনি বলেছেন আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এটা কীসের ভিত্তিতে বলছেন?

মনে রাখবেন, আমি অনেক বছর আমেরিকায় চাকরি করেছি এবং আইএমএফে চাকরি করতাম। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আসে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে। আমি আইএমএফে যখন চাকরি করতাম, আমেরিকাতে যারা কর্মচারী ছিল, তাদের অনেকে আইএমএফ ছেড়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। অনেককে চিনি। এতটুকু বললাম।

এই সম্পর্কটা ১৬ বছরের সম্পর্ক। আপনার যদি পুরোনো কলিগ থাকত, আপনিও টুকটাক কিছু খবর পেতেন। আমি কোনো লিস্ট পাইনি স্বীকার করব, কোনো ডেটও পাইনি এবং কোনো সংখ্যা পাইনি। অবশ্য আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি, বিভিন্ন লোক একেবারে নির্দিষ্ট সংখ্যা বলে দেয়। আমার এত তথ্য নেই। আমি শুধু জানি, আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে।

কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জেনেছেন?

এখন পর্যন্ত যে নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা হলো যারা কারও আদেশ পালন করেছে তাদের ওপর, কিন্তু যে আদেশ দিয়েছে, তার ওপরে নিষেধাজ্ঞা এখনও পড়েনি। এগুলো সামনে আসবে।

বিএনপির প্রসঙ্গে আসা যাক। দলটি জোট বড় করে এক দফা আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে। এই জোটে যেতে আপনাদের কোনো প্রস্তাব কি দেয়া হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাদের মনোভাব কী? আর যদি ভবিষ্যতে প্রস্তাব পান, তাহলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন?

এখন পর্যন্ত দেয়নি, কিন্তু এটা শিগগিরই হবে। সাংবাদিকদের থেকে শোনা যাচ্ছে, এই আলোচনাগুলো কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে, তবে আজকে পর্যন্ত (সোমবার) আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যে প্রস্তাব চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

প্রস্তাব পেলে আমরা অবশ্যই খুবই ইতিবাচকভাবে বিষয়টি দেখব। কারণ এই সরকারকে হটানো দরকার এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।

আপনারা দল গঠন করলেন বেশ কিছু দিন হলো। নানা কর্মসূচিও দিচ্ছেন। এতে তরুণদের বেশ ভালো অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। তো সংগঠন কতটুকু বড় হলো? উপজেলা ও জেলাগুলোতে কি কমিটিগুলো গঠন করা গেল?

এই সংগঠনটি অন্য সংগঠনের থেকে ভিন্ন। এটা প্রথম দিন থেকেই কিন্তু বেশ শক্তিশালী ছিল। কারণ আগের যে অঙ্গ সংগঠনগুলো, সারা দেশে এগুলোর প্রচার হচ্ছিল। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের সব জেলায় মোটামুটি সংগঠন আছে।

যুব অধিকার পরিষদে প্রত্যেক জেলায় কমিটি আছে; উপজেলা পর্যন্ত আছে। কিছু জায়গায় ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি আছে। ওয়ার্ড লেভেলে যখন ১০০ জনের কমিটি থাকে, তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, দলটা অলরেডি সংগঠিত। এটা আছে।

আমাদের গণ অধিকার পরিষদের কমিটিগুলো এখনও ফাইনাল হয়নি। সেগুলোতে অন্য কমিটি থেকে কিছু লোক জয়েন করবে। আর কিছু সিনিয়র লোক জয়েন করবে। ধরুন কলেজের অধ্যক্ষ, যারা উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন, যারা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, এ ধরনের মানুষ।

যাদের ওপর সরকার প্রভাব ফেলতে পারে, তারা তো এই মুহূর্তে জয়েন করবে না। তাদের স্ত্রীর চাকরি চলে যেতে পারে, ছেলে-মেয়েদের অসুবিধা করতে পারে, হুমকি দিতে পারে। এ ছাড়া অনেক লোক এখন সাহস করে নামছে। বিশেষ করে এই নিষেধাজ্ঞা (আমেরিকার) আসায় তারা বুঝতে পেরেছে যে, এদের (সরকার) দিন প্রায় শেষ।

আপনারা নির্বাচন কমিশনে এখনও নিবন্ধিত না। নিবন্ধন না পেলে আগামী নির্বাচন কীভাবে করবেন?

নিবন্ধনের যে শর্ত আছে, আমরা সেগুলো পালন করতে পারব। সে ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। আমরা এটা জমা দিলেই ইনশাআল্লাহ পাব। না হলে তখন পরিস্থিতি দেখা যাবে। আমার মনে হয়, নিবন্ধন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি শর্ত পালন করি, তারপরে না হলে আইনের আশ্রয় নেব।

আপনারা সরকারকে খুবই আক্রমণ করে কথা বলেন। সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাধীনভাবে কর্মসূচি পালন করতে দিতে বলা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, সরকারের সঙ্গে আসলে আপনাদের যোগাযোগ আছে।

উনি (সরকার প্রধান) যে ওই কথাটা বললেন, তার দুই দিন পরে ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের ছেলেরা আক্রমণ করেছে আমাদের ছেলে-মেয়েদের ওপরে। অনেক লোক আহতও হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনা আছে, হয় উনি সত্যি কথা বলেন না; দ্বিতীয়টা হলো, ছাত্রলীগের ওপর উনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

যে জিনিসটাই হোক, ছাত্রলীগ এখনও আক্রমণ করে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যখন মিটিং হয়, বড় মিটিং হয়। ছাত্রলীগের চেয়ে অনেক বড় সমাবেশ হলে তারা ঘাবড়ে যায়, আক্রমণ করে।

আমার ওপরে তো একবার শারীরিক আক্রমণ হয়েছে। আর ২০ বার আমাদের ভিপি নুরের ওপরে আক্রমণ হয়েছে। নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, এত আদর বোধ হয় না করলেই ভালো।

মেয়েদের ওপরও হামলা হচ্ছে মিছিলে। অনেক ধরনের আক্রমণ হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাবেক নেতা হিসেবে এই জোটের ভবিষ্যৎ কী মনে হয়?

আমরা মনে হয় নতুন কোনো ধরন দেখবেন। নতুন একটা কাঠামো তৈরি হতে পারে। আর ঐক্যফ্রন্টের ভেতরে কিছু মানুষ ছিল যারা সরকারি দলের গোয়েন্দা বা গুপ্তচর, তবে আমাদের যদি নতুন যে কাঠামো হয়, সেখানে আমরা এটা অ্যাভয়েড করব।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের একটি বড় অভিযোগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কোন কথাটা বলতে চান, কিন্তু বলতে পারেন না?

কোন কারণে কোন কথার জন্য আপনার বিরুদ্ধে কখন অ্যাকশন নেবে আপনি তো জানেন না। বিষয়টি আসলে পুলিশি রাষ্ট্রের মতো, সরকারের মর্জির ওপরে দেশ চলে। আইনের শাসনে আর চলে না।

আপনি নিজের সমালোচনা সহ্য করেন?

আশা করি আমি পারি। এটা একটা কঠিন প্রশ্ন। এটা প্রত্যকের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে। আমি তো সে রকম ক্ষমতায় সরাসরি কোনোদিন ছিলাম না। সমালোচনা করলে খারাপ লাগে, কিন্তু আমি এটা নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজেকে তৈরি করতে যে, আমরা যখন ক্ষমতায় যাব, তখন আপনি এসে প্রশ্ন করবেন, সমালোচনা করবেন, এটা সহ্য করব।

আমি এটা থেকে সুবিধা নিতে চেষ্টা করব। আপনি সমালোচনা করছেন, কী ব্যাপারে করছেন, নিশ্চয়ই কোনো একটা গ্রুপ আছে যারা আমাদের সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। তখন আমি এটা ঠিক করতে চেষ্টা করব।

আপনার সমালোচনাটা আমি ব্যবহার করব সরকারকে আরও শক্তিশালী করতে। ক্ষেপে যাওয়ার আগে আপনার কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করব, জনগণ কেন ক্ষেপে গেছে। অন্যরা জনগণের মধ্যে ভয় ঢোকায়; আমরা জনগণকে ভয় করব, তবে সবাইকে রাজনীতিতে খুশি করা যায় না।

এ বিষয়টি আমি বলতে পারব ক্ষমতায় যাওয়ার পর। তখন একই প্রশ্নটা করবেন। তখন আমাকে এই প্রশ্নটা করলে উত্তর দিতে পারব।

যদি এই সাক্ষাৎকারের উপস্থাপনা আপনার মনঃপুত না হয়, তাহলে কি রাগ করবেন?

বকাঝকা, গালিগালাজ করলে একটু তো অসন্তুষ্ট হবই, তবে কঠিন প্রশ্ন করলে আমার রাগ করার কিছু নাই। কঠিন প্রশ্ন ফেস করার জন্য আমি যদি রাজি না থাকি, আমার চামড়া যদি পাতলা হয়, তাহলে আমার তো রাজনীতিতে আসা উচিত না।

এর আগে আমরা আপনার একটি সাক্ষাৎকার ছেপেছিলাম। শিরোনাম আপনার পছন্দ হয়নি, আপনি তখন রিপোর্টারকে ফোন করেছিলেন।

জাস্ট পরে আমি জিনিসটা বুঝলাম। শিরোনামটা আপনারা দিয়েছেন, যেন সবার নজর লাগে। আমি জিনিসটা কিছুটা আন্দাজ করেছি, কী কারণে করেছেন জিনিসটা।

এটা নিয়ে পাসিং একটা কমেন্ট করেছি। এটা করতে হয়…না, আমার রেগে যাওয়ার কিছু নেই, তবে আমি একটু সারপ্রাইজড হয়েছিলাম। পরে বুঝেছি, দ্যাটস অ্যা টেকনিক ইন বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর