বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসেম আর নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুধবার ভোর ৬টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আবুল হাসেমের নাতি শিরিন আক্তার।
১৯৩০ সালের ১৭ আগস্ট গফরগাঁওয়ের গফরগাঁও ইউনিয়নের গফরগাঁও গ্রামে জন্ম নেন আবুল হাসেম।
তিনি ১৯৫০ সালে গফরগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি।
৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা ছিল আবুল হাসেমের।
১৯৬৯-এর আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালীন আন্দোলনকে বেগবান করতে গফরগাঁওয়ের মানুষ তার ডাকে বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিয়েছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে গ্রাম পর্যায়ে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করেছিলেন। বৃত্তি হিসেবে দেয়া হতো খাসি ও ছাগল।
তিনি তৎকালীন লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকা মেয়েদের জন্য গফরগাঁও মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি গফরগাঁও মহিলা ডিগ্রি কলেজ নামে পরিচিত।
১৯৭০-১৯৭৩ সালে এমপি নির্বাচিত হন ময়মনসিংহের ১০ গফরগাঁও আসনে ।
’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে তাকে বন্দি করা হয়। দুই বছর কারাগারে থেকে ১৯৭৭ সালে মুক্তি পান তিনি।
২০০৫ সালে ‘যখন এমপি ছিলাম’ নামে একটি বইও লেখেন আবুল হাসেম।