পরিচয় গোপন করে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় আসল সোহাগ ওরফে বড় সোহাগকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) সোহাগকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালতে সোহাগের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারকের খাস কামরায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলীতে হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন বড় সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি। ২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শনিবার প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
মঙ্গলবার সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে (সিএমএম) আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।