প্রায় তিন বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যানকে দেয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেশে গণতন্ত্রের অবনতি ঘটেছে, এমন অভিযোগ করে এই চিঠি দেয়া হয়।
অন্যদিকে দুজন সিনেটরকে চিঠি দেয়া হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধের মধ্যে মির্জা ফখরুলের চারটি চিঠি প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সে সময়ের কংগ্রেসম্যান নিতা লোয়ি ও লিন্ডসে গ্রাহামকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এতে তিনি বাংলাদেশকে দেয়া বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনার অনুরোধ করেন।
নিতা সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস কমিটি অন অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস এবং সাব-কমিটি অন স্টেট, ফরেন অপারেশনস অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামসের প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল অ্যালায়েস ককাসের সদস্যও ছিলেন তিনি।
ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা বর্তমানে এসব পদে নেই। ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি অবসরে যান। অবসরে গেলেও সরকারের সঙ্গে এই ধরনের নেতাদের যোগাযোগ থাকে।
লিন্ডসে গ্রাহাম বর্তমানে ক্ষমতার বাইরে থাকা রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান সিনেটর। এর পাশাপাশি তিনি সিটেন অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস সাব-কমিটি অন স্টেটসের পাশাপাশি ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
অন্য দুটি চিঠি দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দুই রাজনীতিক মিট রমনি ও জেমন রিসককে।
রমনি সে সময় পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক এবং সন্ত্রাসবিরোধী সাব-কমিটির প্রধান ছিলেন। জেমস রিসক পররাষ্ট্রবিষয়ট সিনেট কমিটির প্রধান ছিলেন।
বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না- এমন অভিযোগ করে ফখরুল দাবি করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার অবনতি ঘটছে।
নিতা ও গ্রাহামকে দেয়া চিঠিতে ফখরুল লেখেন, ‘এই উদ্বেগজনক প্রবণতা ও ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে তাদের সম্পর্কিত ঝুঁকির আলোকে, আমরা দৃঢ়ভাবে আপনাকে যে প্রশ্নগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ প্রক্রিয়া চলাকালীন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা এবং বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনা করে সেগুলো উত্থাপন করার সুযোগ বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।
‘যেহেতু বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকান স্বার্থ স্থায়ী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি অপরিহার্য যে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ প্রক্রিয়াকে কার্যকর উপায় হিসেবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা গণতন্ত্রের বিনিময়ে না আসে।’
বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা পর্যালোচনার অনুরোধ করে ফখরুলের চিঠির অংশ বিশেষ
মির্জা ফখরুল মঙ্গলবার বিদেশিদের কাছে চিঠি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এটি দেশের বিরুদ্ধে ছিল না বলে দাবি করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি তার আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন চায়, মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ চায়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি অংশীদারদের এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চায়।
‘বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’
পরদিন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এই চিঠিগুলো নিয়ে কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে চিঠি লিখেছেন বিদেশিদের কাছে এটি স্বীকার করেছেন। তিনি যেটা অস্বীকার করেছেন, সেটা হচ্ছে সাহায্য বন্ধের কথা লেখা।
‘তার কথার সারমর্ম হচ্ছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করা। উনি গতকাল বলেছেন, তিনি সাহায্যের কোনো কথা বলেননি। এখানে সাহায্য পুনর্মূল্যায়ন ও প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এই নথিগুলো কীভাবে অস্বীকার করবেন?’
এই চিঠিতে আর যা যা বলা হয়েছে
ফখরুল লেখেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবনতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের পদক্ষেপের আহ্বান জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যেহেতু বর্তমান ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী, একদলীয় শাসনের পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে, আমরা সম্মানের সঙ্গে কংগ্রেসনাল অ্যাপ্রোপ্রিয়েটরদের বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা ও বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনা করার জন্য তত্ত্বাবধান ক্ষমতা প্রয়োগ করার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা পুনর্বিবেচনা করতে ফখরুলের চিঠির প্রথম পৃষ্ঠা
‘এটা জরুরি যে কংগ্রেসনাল অ্যাপ্রোপ্রিয়েটররা সতর্কতার সঙ্গে ও কৌশলীভাবে এ পন্থা ব্যবহার করে আমেরিকার অত্যাবশ্যক জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের ক্ষেত্রে এমনভাবে সুরক্ষিত করবেন, যা বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষের কঠোর নেতৃত্বের অধীনে ক্রমাগত খারাপ হতে থাকা পরিস্থিতির উন্নতিতে অবদান রাখে।’
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ’ বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘নির্বাচনের পর, দেশে গণতন্ত্রের অবনতি যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এর প্রতি অসন্তোষ অব্যাহত রেখেছে। ইউএস এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ, সশস্ত্র বাহিনী ও কংগ্রেস ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ব ও মানবাধিকারের অপব্যবহারের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে:
- স্টেট ডিপার্টমেন্টের সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক হিউম্যান রাইটস রিপোর্টে বাংলাদেশের ওপর ৫০ পৃষ্ঠার একটি কঠোর প্রতিবেদন রয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ও বলা হয়েছে যে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ ডিসেম্বরে এমন একটি ব্যাপকভাবে একতরফা সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়লাভ করেছে যেটি অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না ও যেখানে ব্যালট বাক্স ভর্তি, বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ছিল’।
- আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সামনে সিনেটের সাক্ষ্যে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ফিলিপ এস ডেভিডসন, উল্লেখ করেছেন যে ‘বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা একত্রীকরণের প্রবণতার জানান দেয় ও এতে আশঙ্কা জেগেছে যে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা একটি একদলীয় রাষ্ট্র অর্জনের লক্ষ্যে রয়েছেন।
- পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটি পররাষ্ট্র সচিব পম্পেওকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চিঠি পাঠিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারকে সমর্থন করা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সেই গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলোকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে৷’
বাহ্যিক চাপ সত্ত্বেও, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার শাসনকে সুসংহত করতে এবং নাগরিক স্বাধীনতা ও বিরোধী কণ্ঠস্বরের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে চায় বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, ‘অধিকন্তু চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে। কারণ জাতিসংঘ সম্প্রতি শরণার্থীদের একটি উপকূলীয় দ্বীপে স্থানান্তর করার সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সতর্ক করেছে যে ‘সংশ্লিষ্ট উদ্বাস্তুদের সম্মতি ছাড়া অপরিকল্পিত স্থানান্তরে নতুন সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তদন্তের আহ্বানে দুই চিঠি
মিট রমনি ও জেমন রিসককে দেয়া চিঠির ভাষাও হুবহু এক।
এতে ফখরুল লেখেন, ‘বাংলাদেশে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্বাধীন তদন্তের গুরুত্ব ও এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কোনো অর্থবহ পদক্ষেপের অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোনো তদন্ত হয়নি ও তদন্তের কোনো পরিকল্পনাও জানানো হয়নি।
‘যেহেতু বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কর্তৃত্ববাদী, একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হওয়ার পরিকল্পনা করছে, আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের প্রশ্ন উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়া হয়।’
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তদন্ত করতে বিএনপির চিঠির প্রথম পৃষ্ঠা
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের পরিপ্রেক্ষিতে, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন আমেরিকান স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন ফখরুল। লেখেন, ‘যা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাব ও এর জবাবদিহিতার অব্যাহত অভাবের কারণে হুমকির সম্মুখীন।’
ফখরুল লেখেন, নির্বাচনের পরে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ্যে একটি স্বাধীন তদন্ত ও নিরপেক্ষ পরীক্ষার জন্য আহ্বান জানায়, যা বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর আক্রমণ, ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোট কারচুপি ও ব্যালট বাক্স ভরা এবং নির্বাচনের আগে ও চলাকালীন নির্বাচনি কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের স্বীকৃতি দেয়।’
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নও তুলে ধরেন ফখরুল। তিনি লেখেন:
- যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট উল্লেখ করেছে ‘প্রাক-নির্বাচন সময়ে হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন, যা অনেক বিরোধী প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের জন্য দেখা করা, সমাবেশ করা ও অবাধে প্রচার করা কঠিন করে তোলে (এবং) নির্বাচনের দিনের অনিয়ম কিছু লোককে ভোট দিতে বাধা দেয়, যা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করেছে।’
- স্টেট ডিপার্টমেন্টের সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক হিউম্যান রাইটস রিপোর্টে বাংলাদেশের ওপর ৫০ পৃষ্ঠার একটি কঠোর প্রতিবেদন রয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ও বলা হয়েছে যে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ ডিসেম্বরে এমন একটি ব্যাপকভাবে একতরফা সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়লাভ করেছে যেটি অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না ও যেখানে ব্যালট বাক্স ভর্তি, বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ছিল।
- পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটি পররাষ্ট্র সচিব পম্পেওকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চিঠি পাঠিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারকে সমর্থন করা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সেই গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলোকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে৷’