বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডায়ালাইসিস বন্ধ: মিরপুরে সড়ক অবরোধ রোগীর স্বজনদের

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৮

রোগীর স্বজনরা এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে ডায়ালাইসিস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর। শিগগিরই আবার ডায়ালাইসিস সেবা চালু হবে।

রাজধানী জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রোগীর স্বজনরা।

বুধবার দুপুরে ১টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুর দুইটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর-এর প্রধান হিসাবরক্ষক জসীম উদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, ২০১৫ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে কোম্পানিটি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে আসছে। হঠাৎ করে বুধবার ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনেরা। এতে করে পুরো এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।

তিনি জানান, এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে স্যান্ডোর। শিগগিরই আবার ডায়ালাইসিস সেবা চালু হবে।

জসীম উদ্দীন জানান, হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে পাওনা টাকা চেয়ে মঙ্গলবার একটি নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তাতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, যে কারণে রোগীর স্বজনরা বিক্ষোভ করে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের কিছু টাকা বকেয়া ছিল। এ টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে সেবা বন্ধ করে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডোর।

বৈঠক শেষে কিডনি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্যান্ডোর নামের কোম্পানিটি এ কাজটি করে আসছে। কিছু টাকা বকেয়া থাকায় আজ সকাল থেকে ৬০০ রোগীকে তারা জিম্মি করেছে। কোম্পানিটির ওপর আমরাও বিরক্ত, তবে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে ডায়ালাইসিস চালু হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অন্যান্য হাসপাতাল থেকে বাড়তি যে রোগী এসেছে কিডনি হাসপাতালে, সেসব রোগীর ডায়ালাইসিসের টাকা বাকি রয়েছে। আমাদের হাসপাতালের যেসব রোগীর ডায়ালাইসিস হয়েছে, সেই টাকা পেমেন্ট দেয়া হয়েছে, তবে অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করোনার কারণে বাড়তি যে রোগী এসেছে, সেই রোগীর ডায়ালাইসিসের টাকা আমরা দিতে পারিনি।

‘এ টাকা দিতে হলেও টাইমের ব্যাপার। কারণ এটার একটি প্রক্রিয়া আছে সরকারের। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সেবা বন্ধ করে দিল প্রতিষ্ঠাটি। আমি শুধু হাসপাতালের পরিচালক না; নিজেও একজন ডাক্তার। আমি কি চাইব একজন কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস বন্ধ থাক?’

এ বিভাগের আরো খবর