বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন একই পরিবারের ৪ জন

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৬

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা শান্তা আক্তার বলেন, ‘গাড়িতে চালকের পাশের আসনে ছোট ছেলেকে নিয়ে বসে ছিলাম। মেয়ে পেছনের আসনে বসা ছিল। মুহূর্তের মধ্যে ট্রাকটি আমাদের গাড়ির ওপর উল্টে পড়ে। এ রকম দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরার কথা না। আল্লাহর অশেষ কৃপায় পরিবারের সবাই অক্ষত আছে।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রাইভেট কারের ওপর আকস্মিকভাবে মালবাহী ট্রাক উল্টে পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন একই পরিবারের ৪ জন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগআলী কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের সামনে ​মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাইভেট কারে করে ঢাকার মিরপুর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন মো. শামিম। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায় কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলের সামনে এলে একটি পোল্ট্রি ফিড-বোঝাই ট্রাক গর্তে পড়ে উল্টে প্রাইভেট কারটির ওপর পড়ে।

এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান প্রাইভেট কারে থাকা শামিম, তার স্ত্রী শান্তা আক্তার, তাদের ১৬ বছর বয়সী বড় মেয়ে সামসাদ নাহার আনুস্কা ও সাড়ে তিন বছরের ছেলে আহনাফ হোসেন শুদ্ধ।

তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করেন আশপাশের লোকজন। সামান্য চোট পেলেও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তারা।

নিউজবাংলাকে শামিম বলেন, ‘রাস্তায় খানাখন্দ ও বিআরটির সংস্কারকাজের জন্য চেরাগআলী এলাকায় যান চলাচলে ধীরগতি ছিল। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি মালবাহী ট্রাক আমাদের প্রাইভেট কারের ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় আমরা গাড়ির ভেতরেই আটকা পড়ি। পরে গাড়ির দরজা ভেঙে বের হই।’

শামিম পেশায় একজন উবার চালক। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটি ছিল তার আয়ের উৎস। এ দুর্ঘটনার ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণের কয়েক মাস আগে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়িটি কিনে ঢাকায় উবারে চালাইতাম। করোনায় লকডাউনের কারণে গত দুই বছরে গাড়ির কিস্তিও পরিশোধ করতে পারিনি।

‘এখনও প্রায় সাত লাখ টাকার কিস্তি আছে ব্যাংকে। এরই মধ্যে দুর্ঘটনায় একমাত্র আয়ের উৎস গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এখন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কিভাবে থাকব তা-ই ভাবছি।’

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা শান্তা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়িতে চালকের পাশের আসনে ছোট ছেলে শুদ্ধকে নিয়ে বসে ছিলাম। মেয়ে আনুস্কা পেছনের আসনে বসা ছিল। মুহূর্তের মধ্যে ট্রাকটি আমাদের গাড়ির ওপর উল্টে পড়ে।

‘এ রকম দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরার কথা না। আল্লাহর অশেষ কৃপায় পরিবারের সবাই অক্ষত আছে।’

এসআই আবুল কাশেম জানান, ট্রাকে থাকা পোল্ট্রি ফিড সরিয়ে ট্রাকটি বুধবার বেলা ১১টার দিকে থানায় নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর