নেত্রকোণার দুর্গাপুরে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানায় মঙ্গলবার রাত ৯টায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ওই গৃহবধূ দুর্গাপুর পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়া এলাকার হাবিবুল্লাহর স্ত্রী। হাবিবুল্লাহ পেশায় খুদে ব্যবসায়ী।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, পুলিশ সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাবিবুল্লাহর ঘরের মেঝে থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিন বিকেলে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
ঘটনার পর গৃহবধূর বাবা পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান, ৫ বছর আগে হাবিবুল্লাহর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই হাবিবুল্লাহ মা ছালমা আক্তারের প্ররোচনায় স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে অসম্মতি জানালে হাবিবুল্লাহ তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
গৃহবধূর বাবা আরও জানান, মেয়ের কথা চিন্তা করে তিনি হাবিবুল্লাহকে ৬ লাখ টাকা দেন, কিন্তু ওই টাকা দেয়ার পরও আরও ৪ লাখ টাকার জন্য স্ত্রীর ওপর চাপ দেন হাবিবুল্লাহ। এ নিয়ে তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
গৃহবধূর বাবার দাবি, সোমবার সকালেও হাবিবুল্লাহ তার মেয়ের কাছে যৌতুকের ৪ লাখ টাকা দাবি করেন, কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন হাবিবুল্লাহ। পরে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালান হাবিবুল্লাহ ও তার বাড়ির লোকজন।
দুর্গাপুর থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু তার শাশুড়ি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে বলেও জানান ওসি।