নরসিংদীতে আলাদা অভিযানে দুজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে শাহ আলমসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই দিনে রাত আটটার দিকে রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিককে একটি দুই নলা বন্দুক ও চারটি কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা পুলিশ। এ ছাড়া সেদিন মির্জারচর ও বাঁশগাড়ী এলাকার টেটাঁযুদ্ধের সহকারী হিসেবে চিহ্নিত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে ঘোড়াশাল মিয়াপাড়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিদেশি পিস্তল, কাভার্ডভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে টেটাঁযুদ্ধের হোতা হিসেবে চিহ্নিত সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু, আবদুল মতিন মেম্বার, আসাদুল্লাহ মিয়া ও তাদের ৪ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাতজন ডাকাতদলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বার্থে উসকানি দিয়ে চরাঞ্চলে সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।