বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলার অভিযোগ গঠনের (চার্জ) শুনানির তারিখ পেছানো হয়েছে।
মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ায় অভিযোগে মানহানির এ দুই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেয়।
এদিন মামলা দুটির অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল।’
এতে বলা হয়, ‘১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি জাতীয় দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল লেখা হয়। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।’
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন।