বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু টানা তিন দিন ৩০-এর ওপরে

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:১০

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৬টি ল্যাবে করোনার ৪৫ হাজার ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন দিন করোনায় মৃত্যু ৩০-এর ওপরে।

এর আগে রোববার দেশে করোনায় ৩৪ ও সোমবার ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৫৪ জন দেশে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪২৫ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৬টি ল্যাবে করোনার ৪৫ হাজার ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ২৫ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি।

গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৭ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত শনাক্ত হার পাঁচ শনাক্তের নিচেই ছিল। এই তারিখে সংক্রমণের হার প্রথমবারের মতো ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।

এরপর থেকে সংক্রমণের হার প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২৮ জানুয়ারি সংক্রমণের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে পরদিন থেকেই সংক্রমণের হার কমতে থাকে।

করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু এতদিন বেশ কমই ছিল। তৃতীয় ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায় শনিবার। রোববার তা বেড়ে ৩৪-এ দাঁড়ায়। সবশেষ সোমবার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭২১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।

গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ১৫ ও নারী ১৬ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানে করোনা শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন। এ ছাড়া সিলেটে দুইজন, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুরে একজন করে মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের একপর্যায়ে দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই সময় বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হচ্ছিল। এবার বিধিনিষেধ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা প্রতিপালনে তেমন কঠোরতা নেই।

জানুয়ারিতে মৃতদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভ্যাকসিন নেয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানুয়ারির ১ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছে ৩২২ জন, তাদের ৭২ শতাংশই টিকা নেননি। ৩২২ জনের মধ্যে ৮৮ জন টিকা নিয়ে মারা গেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর