ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে চট্টগ্রাম বিভাগের চার জেলার ছয় উপজেলার ৪৮ ইউনিয়নের ২৬টিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী জয় পেয়েছে।
বাকি ২২ ইউনিয়নের ১২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুইটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র, একটিতে ইসলামী ঐক্যজোট ও সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম
ষষ্ঠ ধাপে চট্টগ্রামের এক ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার খালেদ জানান, সোমবারের ভোটে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. রাশেদুল পেয়েছেন ১৯৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়রার নবীনগর উপজেলার সাতটি ও কসবার সাতটি ইউনিয়নে সোমবার ভোট হয়েছে। কসবা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রতীক না দেয়ায় সব প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র।
নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চার ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী, এক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী, একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র ও বাকি এক ইউনিয়নে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কুমিল্লা
কুমিল্লার দুই উপজেলার ৩২ ইউনিয়নে সোমবার ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ২১ ইউনিয়নে। ২১ জনের মধ্যে ১১ জনই জয় পেয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুরাদনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ১০টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ১০টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। বাকি এক ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালী
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে দ্বিগুণের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
রিটার্নিং কর্মকর্তা নাছরুল্যাহ আল মাহমুদ মো. বেলায়েত হোসেন বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, চশমা প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেলায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট। নৌকার প্রার্থী আছেন তৃতীয় অবস্থানে। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৯৫ ভোট।