টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেন থেকে নবজাতকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারী ও তার কিশোরী মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নবজাতকটি ওই কিশোরীর; জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের সন্তান বলে জন্মের পর শিশুটিকে হত্যা করে পালিয়ে যান ওই কিশোরী ও তার মা।
উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া থেকে রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নাগরপুর থানায় তাদের নামে শিশু হত্যার মামলা হয়।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে দশটায় দিকে প্রসববেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেই কিশোরী। সঙ্গে ছিলেন তার মা। হাসপাতালের টয়লেটে কন্যাসন্তান জন্ম দেন মেয়েটি। ঘণ্টা দুয়েক পর তারা বের হয়ে এলে চিকিৎসক কাজল পোদ্দার সব দেখে মেয়েটিকে ছাড়পত্রও দেন।
তারা রাতেই বের হয়ে যান। পরদিন সকালে হাসপাতালের পাশের ড্রেনে পাওয়া যায় নবজাতকের গলাকাটা মরদেহটি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইদ্রিছ আলী বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে তার ফুফাতো ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এ থেকে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তাই মা-মেয়ে মিলে শিশুটিকে হত্যা করেন। তারা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।’