বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে ‘অনিয়ম’

  •    
  • ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:০০

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, ‘সরকারি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে টাকার নেয়ার অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

ভোলার মনপুরায় সরকারি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএনজে কোম্পানির বিরুদ্ধে।

বিনা পয়সায় এসব খুঁটি স্থাপনের নিয়ম থাকলেও স্থানীয়দের কাছ থেকে খুঁটিপ্রতি তারা ৫ হাজার করে টাকা আদায় করছেন বলে জানা গেছে। এতে নিয়মিত সংযোগ নিবন্ধিত গ্রাহকরা আবেদন করেও খুঁটি পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।জানা যায়, মনপুরা উপজেলা ভোলা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সেখানে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুতে’র আওতায় ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ সম্প্রসারণে পুরোনো লোহার খুঁটি সরিয়ে সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে মূল সড়কসহ সংযোগ সড়কগুলোয়।বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএনজে কোম্পানি দরপত্রের মাধ্যেমে খুঁটি স্থাপনের দায়িত্ব পায়। প্রথম পর্যায়ে উপজেলা সদরের হাজীরহাট ইউনিয়নে এক হাজার খুঁটি বসানোর কার্যক্রম চলছে। কিছু খুঁটি বসানোর পরই গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক সুমন, কামরুল, বিপ্লব, আলাউদ্দিন ও লোকমান জানান, তাদের নিবন্ধিত বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। বাড়িতে লোহার পিলারও বসানো রয়েছে। অথচ আবেদন করার পরও তারা সিমেন্টের নতুন খুঁটি পাচ্ছেন না। পুরোনো ভাঙা খুঁটিতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে।

তাদের অভিযোগ, খুঁটিপ্রতি ৫ হাজার টাকা না দিলে তাদের কোনো খুঁটিই দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদাররা। অথচ বিদ্যুৎ সংযোগের নিবন্ধন নেই এমন বাড়িতে দেখা গেছে নতুন খুঁটি ও সংযোগ। মূল সড়ক থেকে অনেক দূরের বাড়িতেও দেখা গেছে একাধিক নতুন খুঁটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনিবন্ধিত একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভবিষ্যতে মনপুরায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ চালু হবে। সে জন্য তারা খুঁটিপ্রতি ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন ঠিকাদার মো. শাহীনের ছেলে সোহানকে।

অভিযোগের ব্যাপারে জেএনজে কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. শাহীন বলেন, ‘সরকারি পরিকল্পনা মোতাবেক খুঁটি বসানোর কাজ চলছে। পুরোনো সংযোগসহ মূল সড়ক ও সংযোগ সড়কে খুঁটি বসানোর পরিকল্পনা আছে। তবে আমার ছেলে সোহান কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কি না, সে ব্যাপারে জানা নেই।’তবে সংযোগ সড়কে খুঁটি বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও কিছু সড়কে এখনও বসানো হয়নি বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, সেসব সংযোগ সড়কে নতুন খুঁটি দেখা যাচ্ছে, সেগুলো টাকার বিনিময়েই বসানো হয়েছে। এ জন্য সংযোগ সড়কের পাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে খুঁটিপ্রতি ৩ হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে।

অনিয়মের ব্যাপারে ওজোপাডিকোর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী আব্দুস সালাম জানান, সরকারি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের জন্য কোনো প্রকার টাকা নেয়া হয় না। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিংও করা হয়েছে। এর পরও কেউ টাকা দিলে সে দায় ওজোপাডিকোর নয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, ‘সরকারি বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে টাকা নেয়ার অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর