মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন এক নিহতের ছেলে।
শিবচর থানায় রোববার সকাল ১০টার দিকে মামলা করেন দুর্ঘটনায় নিহত দত্তপাড়া ইউনিয়নের হাজিরকান্দি গ্রামের রোকেয়া বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন শিকদার।
মামলায় প্রাইভেট কার ও দুই বাসের চালককে আসামি করা হয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসাইন।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর পাশে সড়কে প্রথমে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়।
এ সময় কারটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই শিরখাড়া এলাকার ৫৮ বছরের মো. খলিল মাতুব্বর মারা যান। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কার যাত্রীদের উদ্ধার করতে ব্যস্ত হন। এ সময় ঢাকাগামী ইমাদ পরিহনের বাসটি উদ্ধারকারীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।
বাসচাপায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় তিন চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহত রোকেয়া বেগমের ছেলে। ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। অন্য তিনজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওসি মিরাজ আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহত রোকেয়া বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন প্রাইভেট কার চালক আশিকুর রহমান সোহেল এবং ইমাদ পরিবহন ও গ্রামীণ পরিবহনের অজ্ঞাত চালকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে শিবচর হাইওয়ে পুলিশকে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি গাজী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রাইভেট কারের যাত্রীদের উদ্ধার করার সময় গোপালগঞ্জ থেকে আসা ইমাদ পরিবহনের বাস স্থানীয়দের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বাঁচামারা এলাকার ৫৮ বছরের মোস্তফা শিকদার, ৪০ বছরের রোকেয়া বেগম এবং ভ্যানচালক ২৬ বছরের মো. লিটু হোসেন ও ৫৫ বছরের মোফাজ্জেল হোসেন খান নিহত হন।
ওসি গাজী আরও জানান, এ ঘটনায় গ্রামীণ পরিবহনের বাসটি আটক করা হলেও পরে চাপা দেয়া বাসটিকে আটকানো যায়নি।