বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবির সীমানাপ্রাচীরে ফাটল, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের পাশে নতুন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সীমানাপ্রাচীরটি ঘেঁষেই ফুটপাত। সেখানে প্রতিদিন চলাচল করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় প্রাচীর ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

সীমানাপ্রাচীরের অনেকটা জায়গাজুড়ে ফাটল। ওপরের অংশ থেকে খসে পড়ছে সিমেন্টের আস্তরণ। কিছু অংশের গ্রিল ভাঙা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় গেটের পাশে নতুন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সীমানাপ্রাচীরের এমনই অবস্থা।

সীমানাপ্রাচীরটি ঘেঁষেই ফুটপাত। সেখানে প্রতিদিন চলাচল করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় প্রাচীর ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারীরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীরের ওপরের অংশের রডের গ্রিল ভাঙা। ওপরের দিক থেকে প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে আছে ফুটপাতে।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন স্থানে যেতে ব্যবহৃত হয় ফুটপাতটি। এই ফুটপাত ধরে যাওয়া একাধিক পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, অনেকটা ভয় নিয়েই তারা এখান দিয়ে চলাচল করেন।

জানা গেছে, দুই বছর আগে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের এ সীমানাপ্রাচীর ভেঙে কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়। এরপর কয়েকবার প্রাচীরের ওপরের গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষা নতুন ভবনটির নিচতলায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রী কমনরুম। রাস্তার মুখোমুখি কমনরুমের এক পাশে উন্মুক্ত করিডর ও সিঁড়িতে বসে ছাত্রীদের অবসরের অধিকাংশ সময় পার হয়। তবে এখন সেই অবসরের সময়টাও গুটিয়ে নিতে হচ্ছে ছাত্রীদের।

ছাত্রীদের অভিযোগ, রুমের সামনে প্রাচীরঘেঁষে সদরঘাটগামী রাস্তার ফুটপাতের অংশটি এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে বখাটেদের আড্ডাখানা।

এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে, কয়েক মাস আগে রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কারকাজ হওয়ার পর ফুটপাতের উচ্চতা অনেকটা বেড়ে যায়। ফলে এখন ফুটপাতে দাঁড়ালে দেয়ালের ওপর দিয়ে কমনরুমের একাংশ দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, সিঁড়ির ওই অংশটায় অনেক ছাত্রী বসে তাদের অবসর কাটান, বই পড়েন। কিন্তু সেখানে বসলেই শুনতে হয় বখাটেদের নানা মন্তব্য।

এর আগে ছাত্রী কমনরুমের বিষয়টি ছাত্র কল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামকে জানালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী দপ্তরের কয়েকজনসহ স্থানটি পর্যবেক্ষণ করেন।

তবে সে সময় সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে স্থানটি সুরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত হলেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে ফাইল রেডি করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। আর এবার আরসিসি ঢালাই করে পিলার ও সীমানাপ্রাচীরটি তৈরি করা হবে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ভাঙা থাকে ঠিক করে ফেলা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর