ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
ভাঙ্গার হামেরদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয় শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে।
নিহতরা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রসিদ মির্জার ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান বাবু মির্জা।
এর মধ্যে আনোয়ার ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজসেবা কর্মকর্তা। ওয়াহিদুজ্জামান ওই অফিসে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গির আলম এসব নিশ্চিত করেছেন।
ভাঙ্গা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আনোয়ার ও তার স্ত্রী আমার অফিসের ইউনিয়ন সমাজসেবা অফিসার হিসাবে কর্মরত। ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভাঙ্গাতেই থাকতেন। আনোয়ারে মা ফরিদপুর শহরে থাকেন।
‘শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে ওয়াহিদুজ্জামানকে নিয়ে তিনি ফরিদপুর শহরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। সে সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।’
হাইওয়ে থানার ওসি জাহাঙ্গির জানান, ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আনোয়ার নিহত হন। ওয়াহিদুজ্জামানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠনো হয় ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে জেলার বোয়ালমারীর মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে শুক্রবার বিকেলে ট্রাকচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেলআরোহী। দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেরচালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বগড়া বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা হয় বলে জানান বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক উত্তম কুমার।
নিহতের নাম মো. সালাউদ্দিন। তার বাড়ি আলফাডাঙ্গার বুরাইচ ইউনিয়নে। আহত মোটরসাইকেল চালক রাব্বি হককে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে উপপরিদর্শক জানান, সালাউদ্দিন ও রাব্বি মোটরসাইকেলে বোয়ালমারী থেকে আলফাডাঙ্গা যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে যাওয়া ডিমবোঝাই ভ্যান এটিকে ধাক্কা দেয়। সালাউদ্দিন ও রাব্বি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়লে পেছন থেকে যাওয়া ট্রাক সালাউদ্দিনকে চাপা দেয়।
স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের শেখ মুজিব মেডিক্যালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে সালাউদ্দিনের মৃত্যু হয়।