বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্তরে শীতের দাপট, প্রভাব রাজধানীতেও

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৩৪

সারা দেশে শীতের দাপট বাড়তে পারে আগামী দু-এক দিনে। আরও কমবে তাপমাত্রা। তবে উত্তর ছাড়া দেশের অন্য অংশে কুয়াশার প্রভাব কিছুটা কম হওয়ায় মাঝে মঝেই দেখা মিলবে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের। উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দুই দিন পর আবারও বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।

হাড় কাঁপানো শীত দাপট দেখাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে কাবু এসব এলাকার মানুষ। মৌসুমি বায়ু প্রবাহ উত্তরের সে শীত বয়ে নিচ্ছে দেশের অন্য অংশেও। শীতের তীব্রতা ছড়িয়েছে রাজধানী ঢাকাতেও।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে শীতের দাপট বাড়তে পারে আগামী দু-এক দিনে। আরও কমবে তাপমাত্রা। তবে উত্তর ছাড়া দেশের অন্য অংশে কুয়াশার প্রভাব কিছুটা কম হওয়ায় মাঝে মঝেই দেখা মিলবে রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের। উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দুই দিন পর আবারও বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের তাপমাত্রা তো অনেক কমে গেল, বলা চলে শীতে কাঁপছে সারা দেশ। ঢাকাতেও বেশ শীত পড়ছে। শনিবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। উত্তরের হিমেল হাওয়া সারা দেশে শীত ছড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আসলে তাপমাত্রা নির্ভর করে উচ্চ চাপবলয়ের অবস্থানের ওপর। এটা বাংলাদেশের যত কাছে থাকবে তত শীত পড়বে। উচ্চচাপ বলয় কখনও কখনও বিহারসহ আরও দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করে, তখন শীত কম থাকে। কিন্তু এর বর্ধিতাশের অবস্থান এখন পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।

‘ওইসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা ঢাকায় টের পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম এলাকা এবং নদী অববাহিকা ছাড়া অন্য অংশে কুয়াশার দাপট কিছুটা কম। তাই শীত পড়লেও সূর্যের দেখা মিলবে।’

আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, রাতে ঢাকার তাপমাত্রা নামতে পারে ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শনিবার কমতে পারে আরও। ঢাকার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে হিম বাতাস। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই কম।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ জায়গার আকাশ পরিষ্কার। তবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, যশোর, কুষ্টিয়া ও মৌলভীবাজারসহ কয়েকটি জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে, যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।

এদিকে শীতের সঙ্গে কুয়াশার দাপট দেখা গেছে উত্তরাঞ্চলীয় বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, রাতে লালমনরিহাটে ৬.১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনম্নি তাপমাত্রা।

এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা।

হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। কয়েকদিন ধরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে।

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন লালমনিরহাটের শাহজাহান সাজু ও পঞ্চগড়ের হোসেইন রায়হান।

এ বিভাগের আরো খবর